করোনার টিকা না নিলে পুনঃসংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি

  • Update Time : ০৯:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 182

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সুস্থ হওয়ার পর আবার সংক্রমিত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসে পুনঃসংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) গবেষণাটি করেছে। গত শুক্রবার গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সিডিসি বলেছে, টিকার বিষয়ে তারা যে সুপারিশ করেছে, তা এই গবেষণার ফল সমর্থন করে। তাদের সুপারিশ হলো, করোনার টিকা নিতে সক্ষম সবাইকেই টিকা দিতে হবে। কোনো ব্যক্তি আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকলেও তাঁকে টিকা দিতে হবে।

নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের ২৪৬ জনের ওপর। এই ব্যক্তিরা গত বছর করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর গত মে ও জুন মাসের মধ্যে আবার সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ৪৯২ জন স্বেচ্ছাসেবীর তুলনা করা হয়। আগের ২৪৬ জন প্রথমবার যে সময় করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন, ওই ৪৯২ জনও প্রায় একই সময়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন। লিঙ্গ ও বয়সেও উভয় পক্ষের স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় আবার সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি পূর্ণমাত্রায় টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় ২ দশমিক ৩৪ গুণ বেশি। গবেষণায় ফাইজার ও মডার্নার দুই ডোজের টিকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নিয়েছিলেন।

গবেষণায় বলা হয়, করোনার সংক্রমণে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি প্রতিরোধব্যবস্থা কত দিন টেকসই হয়, তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। করোনাভাইরাসের আগের ধরনের সংক্রমণে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি নতুন ধরনের ওপর সেভাবে কাজ না–ও করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, গবেষণাগারে দেখা গেছে, চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রথম ধরনটিতে সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তের নমুনায় পাওয়া অ্যান্টিবডি দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা ধরনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। ভারত থেকে সৃষ্ট করোনার ডেলটা ধরন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ার আগে গবেষণাটি করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনার টিকা না নিলে পুনঃসংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি

Update Time : ০৯:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সুস্থ হওয়ার পর আবার সংক্রমিত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসে পুনঃসংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণের বেশি বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) গবেষণাটি করেছে। গত শুক্রবার গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সিডিসি বলেছে, টিকার বিষয়ে তারা যে সুপারিশ করেছে, তা এই গবেষণার ফল সমর্থন করে। তাদের সুপারিশ হলো, করোনার টিকা নিতে সক্ষম সবাইকেই টিকা দিতে হবে। কোনো ব্যক্তি আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে থাকলেও তাঁকে টিকা দিতে হবে।

নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের ২৪৬ জনের ওপর। এই ব্যক্তিরা গত বছর করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর গত মে ও জুন মাসের মধ্যে আবার সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ৪৯২ জন স্বেচ্ছাসেবীর তুলনা করা হয়। আগের ২৪৬ জন প্রথমবার যে সময় করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন, ওই ৪৯২ জনও প্রায় একই সময়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন। লিঙ্গ ও বয়সেও উভয় পক্ষের স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের করোনায় আবার সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি পূর্ণমাত্রায় টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় ২ দশমিক ৩৪ গুণ বেশি। গবেষণায় ফাইজার ও মডার্নার দুই ডোজের টিকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নিয়েছিলেন।

গবেষণায় বলা হয়, করোনার সংক্রমণে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি প্রতিরোধব্যবস্থা কত দিন টেকসই হয়, তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। করোনাভাইরাসের আগের ধরনের সংক্রমণে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি নতুন ধরনের ওপর সেভাবে কাজ না–ও করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, গবেষণাগারে দেখা গেছে, চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রথম ধরনটিতে সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তের নমুনায় পাওয়া অ্যান্টিবডি দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা ধরনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। ভারত থেকে সৃষ্ট করোনার ডেলটা ধরন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ার আগে গবেষণাটি করা হয়েছে।