বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • Update Time : ০২:১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
  • / 244

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো তাঁর বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যতামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর পরই তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়, ৪৩৩ বার্চ মাউন্ট রোড টরন্টো দুর্গাবাড়ী’র যুগপূর্তি উৎসব উপলক্ষে ” প্রবাসে শারদীয় দুর্গোৎসব” শিরোনামে এক মত বিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু্’র ভাষণের উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, আল্লাহ কিন্তু রাব্বুল মুসলিমিন নন। সমস্ত মানুষের খোদা তিনি, কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের খোদা তিনি নন। বাংলার মাটিতে সম্প্রদায়ের বীজ যাতে বপন না হতে পারে এ বিষয়ে জাতির পিতা বারবার সতর্ক থাকার আহ্বান জানান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই।

এছাড়াও ডা. মুরাদ আরও বলেন, জাতির পিতা সবসময় চাইতেন বাংলাদেশ হবে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশ। যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাঁর ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারবেন। কেউ কারও ধর্মীয় আচার পালনে বাধা দিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু’র সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার তাঁর কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ অতীতের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে ভাল অবস্থানে আছেন। মাঝে মাঝে কেউ কেউ ধর্মের নামে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করার চেষ্টা করলেও তা বঙ্গবন্ধুকন্যার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যর্থ হয়।

এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এর পূর্বে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান Ryerson University আয়োজিত “ডিজিটাল কম্যুনিকেশন অ্যান্ড মাস মিডিয়া” শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এতে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সমহারে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

পরিবর্তনশীল বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতিহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বলা যায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গরূপে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্যে সামনে রেখে আমরা ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিলাম সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সময়োপযোগী সবধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত।

ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে অল্প সময়ে আমরা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনী সম্পর্কে জানতে পাচ্ছি এবং আমাদের দেশেও তা ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছি।

তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ ও ব্যবহার করে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্যতা মুক্ত বঙ্গবন্ধ’র স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

Please Share This Post in Your Social Media


বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০২:১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো তাঁর বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যতামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর পরই তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়, ৪৩৩ বার্চ মাউন্ট রোড টরন্টো দুর্গাবাড়ী’র যুগপূর্তি উৎসব উপলক্ষে ” প্রবাসে শারদীয় দুর্গোৎসব” শিরোনামে এক মত বিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু্’র ভাষণের উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, আল্লাহ কিন্তু রাব্বুল মুসলিমিন নন। সমস্ত মানুষের খোদা তিনি, কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের খোদা তিনি নন। বাংলার মাটিতে সম্প্রদায়ের বীজ যাতে বপন না হতে পারে এ বিষয়ে জাতির পিতা বারবার সতর্ক থাকার আহ্বান জানান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই।

এছাড়াও ডা. মুরাদ আরও বলেন, জাতির পিতা সবসময় চাইতেন বাংলাদেশ হবে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশ। যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাঁর ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারবেন। কেউ কারও ধর্মীয় আচার পালনে বাধা দিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু’র সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার তাঁর কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ অতীতের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে ভাল অবস্থানে আছেন। মাঝে মাঝে কেউ কেউ ধর্মের নামে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করার চেষ্টা করলেও তা বঙ্গবন্ধুকন্যার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যর্থ হয়।

এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এর পূর্বে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান Ryerson University আয়োজিত “ডিজিটাল কম্যুনিকেশন অ্যান্ড মাস মিডিয়া” শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এতে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সমহারে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

পরিবর্তনশীল বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতিহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বলা যায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গরূপে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্যে সামনে রেখে আমরা ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিলাম সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সময়োপযোগী সবধরনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত।

ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে খুব দ্রুততার সাথে অল্প সময়ে আমরা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনী সম্পর্কে জানতে পাচ্ছি এবং আমাদের দেশেও তা ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছি।

তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ ও ব্যবহার করে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্যতা মুক্ত বঙ্গবন্ধ’র স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।