মহামারীতে নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান
- Update Time : ১২:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
- / 224
মোঃওবাইদুল হক, যশোর:
জীবন আমার বাচাঁতে হবে আমার অন্যকেউ বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। করোনা ভাইরাস ঘাতক এক ধরণের ভাইরাস যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র বিশ্বে।
গত বছর থেকে এই ভাইরাস সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধ তৈরি হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর নয়। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে প্রথম আঘাত আনে করোনা নামক ভয়ংকর ভাইরাসটি। কয়েক লক্ষাধিক মানুষও মারা গেছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়েছে।
উন্নত দেশ গুলো যখন এই ভাইরাসকে সামাল দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে তাদের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে। তাহলে আমাদের দেশে তাদের মতো আক্রান্ত হলে কতটা ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে? গণমাধ্যম গুলোতে উঠে এসেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার লাশটা নিজের রক্তের সম্পর্কের মানুষ গুলো ও দেখে না। আমাদের এই মতিষ্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
গণমাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ করতে কি কি করা প্রয়োজন সে বিষয় গুলো প্রচার করা হয় কিন্তু আমরা দেখেও সচেতন হই না। এমন কিছু গণমাধ্যমে উঠেছে যা ভাবতেই অবাক লাগে করোনা মহামারী নিয়েও কিছু সুযোগ সন্ধ্যানী মানুষ গুলো ব্যাবসা শুরু করে দেয়। এই সব বিকৃত মতিষ্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিশ্বর যে কোনো উন্নত দেশে মহামারী রোগ শুরু হয় তখন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্টানের ভুমিকা বেশি থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এটাই দেখা গেছে করোনা মহামারীর ফলে চাকরি হারিয়ে পথে বসেছে অনেক মানুষ যাকে বলা যেতে পারে ঘায়ের উপর বিষ ফোঁড়া। আমরা এমন ও খবর পেয়েছি স্বামী করোনায় আক্রান্ত সেবা করা দুরে থাক, স্ত্রী স্বামীকে রেখে চলে গেছে সেবা দেন নি।
করোনার মধ্যে সবচেয়ে গুরুপ্তপুর্ণ হলো মাস্ক ব্যাবহার করা কিন্তু এই মাস্ক নিয়ে চলে রমরমা বাণিজ্য। পাঁচ টাকার মাস্ক এমনকি পঞ্চাশ টাকা ও বিক্রি হয়েছে। দুর্যোগের সময় এই ধরণের মতিষ্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। করোনাকে নিয়ে দেখেছি গ্রাম অঞ্চলে এক প্রকার ঠাট্টা শুরু হয়ে যায়। গ্রামের চায়ের দোকানে দেখা যায় সকাল সন্ধ্যা আড্ডা তাদের থাকেনা মাস্ক পরা। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় কিসের করোনা। যখন চায়ের দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয় তখন দোকানীরা কৌশল অবলম্বন করে।
দোকানে চা বানানো বাদ দিয়ে গোপন জায়গায় চা বানায়। যখন পুলিশ আসে দোকানীরা খবর পেয়ে বন্ধ করে দেয় আবার পুলিশ চলে গেলে দোকান খোলে। এই সব বিকৃত মতিষ্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে আরেকটা জিনিস দেখা যায় করোনার মধ্যে একজন মানুুষ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলে করোনা রোগী বলে তার কাছে কেউ যায় না এটা কি ডাক্তারের মানবিকতা?এই ধরণের কার্যক্রম গণমাধ্যমে দেখা গিয়েছে।
আরেকটা বিষয় লকডাউন মানেই রাস্তার বন্ধ করা নয়। মানুষের যোগাযোগের মুল বাহন রাস্তা গ্রামে অঞ্চলে রাস্তা বন্ধ করতে দেখা যায়। ভেবে দেখুন হঠাৎ কেউ পীড়িত হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হয় জরুরী চিকিৎসার জন্য। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করলে চিকিৎসা তো দুরে থাক রোগীটা মারা যায়। এই সব বন্ধ করতে হবে। মহামারীর ভিতরে সরকারী নিয়ম নির্দেশনা মেনে চলুন। একে অন্যের সাহায্য সহযোগিতা করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা প্রতিরোধ করুন। এদেশ সুস্থ থাকলে আপনি আমিও সুস্থ থাকবো।