২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি, বন্দীরা দিলেন শারীরিক নির্যাতনের বর্ণনা

  • আপডেটের সময়: ১০:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 95

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলে বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পাওয়া গাজার খান ইউনিস শহরের কয়েকজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলেছে আল–জাজিরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আবদাল্লাহ আবু রাফি। নিজের মুক্তির অনুভূতি এক কথায় তিনি বর্ণনা করেছেন—“অসাধারণ।”

আবু রাফি বলেন, “আমরা ছিলাম এক কসাইখানায়, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই কসাইখানার নাম ছিল ওফের কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে আছেন। ইসরায়েলের কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে কোনো তোশক নেই—সব সময় তোশকগুলো নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থা খুব খারাপ। সবকিছুই সেখানে কঠিন।”

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলের কারাগারের অবস্থা বর্ণনা করেছেন “খুব, খুব খারাপ” বলে। তিনি বলেন, “খাবার, নির্যাতন, প্রহার—সবদিক থেকেই অবস্থা ভয়ানক। সেখানে খাবার বা পানি কিছুই ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিস) এসে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি ওগুলোই খেয়েছি।”

অন্য এক বন্দী সাইদ শুবাইর, যিনি সোমবার মুক্তি পেয়েছেন, বলেন, “এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাগারের বাইরে মুক্ত আকাশে সূর্য দেখা—এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না; এটা অমূল্য।”

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ আজীবন, কেউ দীর্ঘ মেয়াদে সাজা ভোগ করছিলেন। এছাড়া গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এই বন্দীদের “বলপূর্বক গুম হওয়া” ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।

ট্যাগ :

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি, বন্দীরা দিলেন শারীরিক নির্যাতনের বর্ণনা

আপডেটের সময়: ১০:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলে বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পাওয়া গাজার খান ইউনিস শহরের কয়েকজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলেছে আল–জাজিরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আবদাল্লাহ আবু রাফি। নিজের মুক্তির অনুভূতি এক কথায় তিনি বর্ণনা করেছেন—“অসাধারণ।”

আবু রাফি বলেন, “আমরা ছিলাম এক কসাইখানায়, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই কসাইখানার নাম ছিল ওফের কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে আছেন। ইসরায়েলের কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে কোনো তোশক নেই—সব সময় তোশকগুলো নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থা খুব খারাপ। সবকিছুই সেখানে কঠিন।”

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলের কারাগারের অবস্থা বর্ণনা করেছেন “খুব, খুব খারাপ” বলে। তিনি বলেন, “খাবার, নির্যাতন, প্রহার—সবদিক থেকেই অবস্থা ভয়ানক। সেখানে খাবার বা পানি কিছুই ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিস) এসে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি ওগুলোই খেয়েছি।”

অন্য এক বন্দী সাইদ শুবাইর, যিনি সোমবার মুক্তি পেয়েছেন, বলেন, “এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাগারের বাইরে মুক্ত আকাশে সূর্য দেখা—এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না; এটা অমূল্য।”

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ আজীবন, কেউ দীর্ঘ মেয়াদে সাজা ভোগ করছিলেন। এছাড়া গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এই বন্দীদের “বলপূর্বক গুম হওয়া” ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।