শহিদুল আলমদের ‘কনশানস’সহ ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটক
- আপডেটের সময়: ১১:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
- / 99
‘গাজা উপকূলের কাছাকাছি জাহাজ ‘কনশানস’ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।’ বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি লাইভ পোস্টে জানিয়েছেন ‘কনশানস’ জাহাজে থাকা বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম।
১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনারা জাহাজের দিকে আসছেন। তবে অন্ধকারের কারণে ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যাটা বোঝা যাচ্ছে না। সেসময় জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীদের লাইফ জ্যাকেট পড়ে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।
এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি নতুন ফ্লোটিলা যা গাজার সমুদ্রবন্দর ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। ফ্লোটিলার সমস্ত জাহাজ এবং যাত্রী ইসরায়েলি নৌবাহিনী দ্বারা আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আইনগত নৌবন্দর ভেঙে যুদ্ধে প্রবেশের আরও একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীরা একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেয়া হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ অবস্থায় আছেন। তাদের দ্রুত বহিষ্কৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন কর্তৃক আয়োজিত এই নয়-জাহাজের ফ্লোটিলায় অন্তত ১০০ জন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এর মধ্যে একটি জাহাজের নাম কনশানস (Conscience), যা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে।
কনশানসের আয়োজকরা আজ সকালে জানিয়েছেন, আমাদের জাহাজ বর্তমানে একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারের দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে, অন্য ৮টি জাহাজও অবৈধভাবে আটক ও জব্দ করা হচ্ছে।
কর্মীদের প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজগুলোতে চড়ে অভিযান চালাচ্ছে।
ফ্লোটিলার জাহাজগুলোতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের ওষুধ, শ্বাসযন্ত্র ও পুষ্টিসামগ্রীসহ গাজার হাসপাতালে পাঠানোর মতো জরুরি মানবিক সহায়তা ছিল।
“থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস” নামে অভিযানে অংশ নেয়া নয়টি জাহাজে প্রায় ১০০ জন কর্মী রয়েছেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এফএফসি এ পর্যন্ত ডজনখানেক মানবিক মিশন চালিয়েছে গাজায় সহায়তা পৌঁছে দিতে এবং অবরুদ্ধ উপত্যকার মানবিক সংকটের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।
এর আগের সপ্তাহে গাজামুখী ৪০টিরও বেশি নৌকা আটক করে ইসরায়েল, যাতে ৪৫০ জনেরও বেশি কর্মী ছিলেন।
প্রায় ২৪ লাখ মানুষের বসবাসের গাজা উপত্যকায় ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল অবরোধ বজায় রেখেছে। মার্চ মাসে তারা সীমান্ত বন্ধ করে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশে বাধা দিয়ে অবরোধ আরও কঠোর করে, যার ফলে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষে পতিত হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৭ হাজার ১০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।






























