নির্বাচন বানচালে কুবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

  • Update Time : ১২:৩৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 242

কুবি প্রতিনিধি:

গত ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি পক্ষ কেন্দ্র দখল করায় নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি কমিশন। পরে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয় তাঁরা। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকদের একটি চিহ্নিত অংশ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শিক্ষকদের এই অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেহাদুল করিম থেকে শুরু করে প্রত্যেক উপাচার্য মহোদয়ের প্রথমদিকে নানা সুবিধা নিয়ে শেষের দিকে বিপরীতমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের একটি অংশ ঘোষিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেও কেন্দ্র পরিবর্তনের অজুহাতে অবৈধভাবে সদলবলে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটগ্রহণ বানচাল করেছে। তাঁরা অতি সূক্ষ্মভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্রহনন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ধ্বংস করা এমনকি শিক্ষক সমিতির মতো পেশাজীবী সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামোকে ন্যাক্কারজনক ভাবে বাধা প্রদান করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সমিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকেজো করে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষকদের এমন অসদাচরণের ফলে শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক সমাজ বিব্রত ও অপমানিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গঠন ও তারিখ নির্ধারণ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন নির্বাচনে অংশ না নেওয়া পক্ষটি। নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র হিসেবে শিক্ষক লাউঞ্জ বেছে নিলে একইদিনে তাদের কর্মসূচি লাউঞ্জে দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকেই লাউঞ্জ দেয়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নির্বাচন বানচালে কুবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

Update Time : ১২:৩৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

কুবি প্রতিনিধি:

গত ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি পক্ষ কেন্দ্র দখল করায় নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি কমিশন। পরে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয় তাঁরা। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকদের একটি চিহ্নিত অংশ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে পরিকল্পিতভাবে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শিক্ষকদের এই অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেহাদুল করিম থেকে শুরু করে প্রত্যেক উপাচার্য মহোদয়ের প্রথমদিকে নানা সুবিধা নিয়ে শেষের দিকে বিপরীতমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের একটি অংশ ঘোষিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেও কেন্দ্র পরিবর্তনের অজুহাতে অবৈধভাবে সদলবলে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটগ্রহণ বানচাল করেছে। তাঁরা অতি সূক্ষ্মভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরিত্রহনন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ধ্বংস করা এমনকি শিক্ষক সমিতির মতো পেশাজীবী সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামোকে ন্যাক্কারজনক ভাবে বাধা প্রদান করে নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সমিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকেজো করে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষকদের এমন অসদাচরণের ফলে শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক সমাজ বিব্রত ও অপমানিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গঠন ও তারিখ নির্ধারণ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিলেন নির্বাচনে অংশ না নেওয়া পক্ষটি। নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র হিসেবে শিক্ষক লাউঞ্জ বেছে নিলে একইদিনে তাদের কর্মসূচি লাউঞ্জে দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকেই লাউঞ্জ দেয়নি।