ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়কে দলীয় প্রতিপক্ষের মারধর

  • Update Time : ০৮:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 147

বিশেষ প্রতিনিধি:

ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানাত গাজীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। দলীয় একটি পক্ষ ওই হামলা করেছে। এর আগে তাকে ধাওয়া দেওয়া ও ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে কটাক্ষ করে মিছিল হয়েছে। আমানত গাজীর ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম.এ. হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। আমানত গাজী বলেছেন, হামলা কারীরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট।

অপরদিকে, অভিযুক্তরা বলেছেন ৫ আগস্টের পর হতে আমানত হোসেন গাজী আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোক জনকে নিরাপদে থাকতে সহযোগিতা, চাঁদাবজি, দখলবাজিসহ নানা অপকর্ম করছেন। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। এতে, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় আমানত গাজী বাজারে হাঁটছিলেন। ওই সময় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে কিলঘুষি মারে। আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডার পর তিনি চলে যায়। এর পূর্বে ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে আমানত হেসেন গাজীকে ধাওয়া দেওয়া হয়। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। ধাওয়া কারীদের অভিযোগ, আমানত গাজী আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ২৪ আক্টোবর আমানত গাজীর নাম তুলে লাঠিসোঁটা হাতে ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল করা হয়। সোমবার রাত ৯ ঘটিকা নাগাদ বাজারের কেরোয়া মোড়ে হামলা ও মারধরের শিকার হন তিনি।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমানত গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিস দখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের আমানত গাজী বলেন, হামলা কারীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন বিএনপি সেজেছে। তিনি বলেন, বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নানের নির্দেশে আমি চেয়ারম্যানদের নিরাপদে যেতে সাহায্য করেছি। তার ওপর হামলার জন্য মোশারফ হোসেন ও রাশেদকে দায়ী করেন।
অপরদিকে, মুঠোফোনে কথা হয় রাশেদ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমানত গাজীর ওপর হামলা কে করেছে আমি জানি না। আমরা ডাকচিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেছি। তিনি দাবী করে বলেন, ২২ অক্টোবর ইউএনও অফিসে মোশারফের ওপর হামলা করেছে আমানত গাজী।

এদিকে, মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম.এ. হান্নান বলেছেন, বিএনপি থেকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে কারও ওপর হামলা, মারধর, চাঁদাবাজি করা যাবে না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের আহ্বানে সভায় গিয়েছে। সেখানে তাদের ওপর হামলা চেষ্টার খবর শুনে আমি আমানতকে বলেছি চেয়ারম্যানদের নিরাপত্তা দিতে। তিনি আরও বলেন, ওই হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়।

এদিকে, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার বলেছেন, এ রকম কোন অভিযোগও পাইনি, হামলার খবরও জানি না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়কে দলীয় প্রতিপক্ষের মারধর

Update Time : ০৮:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি:

ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানাত গাজীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন। দলীয় একটি পক্ষ ওই হামলা করেছে। এর আগে তাকে ধাওয়া দেওয়া ও ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে কটাক্ষ করে মিছিল হয়েছে। আমানত গাজীর ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম.এ. হান্নান ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। আমানত গাজী বলেছেন, হামলা কারীরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট।

অপরদিকে, অভিযুক্তরা বলেছেন ৫ আগস্টের পর হতে আমানত হোসেন গাজী আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোক জনকে নিরাপদে থাকতে সহযোগিতা, চাঁদাবজি, দখলবাজিসহ নানা অপকর্ম করছেন। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। এতে, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় আমানত গাজী বাজারে হাঁটছিলেন। ওই সময় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে কিলঘুষি মারে। আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডার পর তিনি চলে যায়। এর পূর্বে ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে আমানত হেসেন গাজীকে ধাওয়া দেওয়া হয়। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। ধাওয়া কারীদের অভিযোগ, আমানত গাজী আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ২৪ আক্টোবর আমানত গাজীর নাম তুলে লাঠিসোঁটা হাতে ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল করা হয়। সোমবার রাত ৯ ঘটিকা নাগাদ বাজারের কেরোয়া মোড়ে হামলা ও মারধরের শিকার হন তিনি।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমানত গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিস দখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের আমানত গাজী বলেন, হামলা কারীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন বিএনপি সেজেছে। তিনি বলেন, বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নানের নির্দেশে আমি চেয়ারম্যানদের নিরাপদে যেতে সাহায্য করেছি। তার ওপর হামলার জন্য মোশারফ হোসেন ও রাশেদকে দায়ী করেন।
অপরদিকে, মুঠোফোনে কথা হয় রাশেদ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমানত গাজীর ওপর হামলা কে করেছে আমি জানি না। আমরা ডাকচিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেছি। তিনি দাবী করে বলেন, ২২ অক্টোবর ইউএনও অফিসে মোশারফের ওপর হামলা করেছে আমানত গাজী।

এদিকে, মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম.এ. হান্নান বলেছেন, বিএনপি থেকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে কারও ওপর হামলা, মারধর, চাঁদাবাজি করা যাবে না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের আহ্বানে সভায় গিয়েছে। সেখানে তাদের ওপর হামলা চেষ্টার খবর শুনে আমি আমানতকে বলেছি চেয়ারম্যানদের নিরাপত্তা দিতে। তিনি আরও বলেন, ওই হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়।

এদিকে, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার বলেছেন, এ রকম কোন অভিযোগও পাইনি, হামলার খবরও জানি না।