ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি ঢাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

  • Update Time : ১১:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 86

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বন্ধনের এই ভূমিতে ইসকন দিনে-দিনে রাক্ষসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। অথচ এই দেশের মানুষ প্রতিটি সংকটে নাগরিক হিসেবে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের পাশে দাঁড়াতে কুণ্ঠাবোধ করেনি কখনো। বিনিময়ে এরা অকৃতজ্ঞ ও দেশদ্রোহী আচরণ প্রদর্শন করা শুরু করেছে। এই সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মন্দির পাহারা দিয়েছিল, বন্যায় মাথায় করে খাবার-ত্রাণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। বিপরীতে তারা ভারতের হয়ে এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করায় আজকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার সময় হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করেছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন যে, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর এই দুঃসাহস তারা কোথায় পায় এটা খুঁজে বের করতে হবে। খুনিকে বিচারের আওতায় আনার সাথে সাথে এই সংগঠনের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করতে হবে।

উল্লেখ্য, ইসকনের অনুসারীরা আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেয়। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশের রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইসকন সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এবং আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর করেন। গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। আদালত চত্বরে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ৭-৮ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি ঢাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

Update Time : ১১:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বন্ধনের এই ভূমিতে ইসকন দিনে-দিনে রাক্ষসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। অথচ এই দেশের মানুষ প্রতিটি সংকটে নাগরিক হিসেবে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের পাশে দাঁড়াতে কুণ্ঠাবোধ করেনি কখনো। বিনিময়ে এরা অকৃতজ্ঞ ও দেশদ্রোহী আচরণ প্রদর্শন করা শুরু করেছে। এই সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মন্দির পাহারা দিয়েছিল, বন্যায় মাথায় করে খাবার-ত্রাণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। বিপরীতে তারা ভারতের হয়ে এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করায় আজকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার সময় হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করেছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন যে, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর এই দুঃসাহস তারা কোথায় পায় এটা খুঁজে বের করতে হবে। খুনিকে বিচারের আওতায় আনার সাথে সাথে এই সংগঠনের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করতে হবে।

উল্লেখ্য, ইসকনের অনুসারীরা আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেয়। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশের রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইসকন সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এবং আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর করেন। গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। আদালত চত্বরে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ৭-৮ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।