গুচ্ছে মাইগ্রেশন নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের সাত দাবি

  • Update Time : ১০:৪১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / 204

মিনহাজুল ইসলাম :

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে সাত দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ খুলে হাজারো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এসব দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুচ্ছের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই তাদের মনে নানান প্রশ্ন ছিল। ভর্তি কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কোনো কিছুই পরিষ্কার করে বলেননি। ফলে কোন প্রক্রিয়ায় মাইগ্রেশন হবে তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিলনা। এজন্য তারা গুচ্ছ কমিটির নিকট এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ না করা, প্রতি মেধাতালিকা ৫-৬ দিনে সম্পন্ন করা অর্থাৎ দ্রুত মেধাতালিকা প্রদান করা, অনলাইনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বের ভর্তি শেষের দিন থেকে ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা, সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভাগভিত্তিক অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা।

এছাড়াও তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন না হলে পাঠদান শুরু না করা, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে মাইগ্রেশন চালু বা বন্ধ করার সুযোগ রাখা এবং একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ কতবার মাইগ্রেশন করতে পারবেন তার নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাহারিমা তাবাসসুম বলেন, “আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশায় আছি। এজন্য আমরা এসম্পর্কিত কিছু যৌক্তিক দাবি পেশ করেছি। আশাকরি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই এসব দাবির সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন না।”

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুচ্ছভুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, “আসলে শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সাথে আমিও একমত। কিছু অব্যবস্থাপনার জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর কিছু না কিছু আসন খালি থেকে যায়। এটা আসলে দুঃখজনক। অনেক শিক্ষার্থী প্রথমে বঞ্চিত হয়ে অন্যত্র চলে যান। এটির একটা ব্যবস্থা হওয়া উচিত।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গুচ্ছে মাইগ্রেশন নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের সাত দাবি

Update Time : ১০:৪১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

মিনহাজুল ইসলাম :

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে সাত দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ খুলে হাজারো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এসব দাবি তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুচ্ছের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই তাদের মনে নানান প্রশ্ন ছিল। ভর্তি কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কোনো কিছুই পরিষ্কার করে বলেননি। ফলে কোন প্রক্রিয়ায় মাইগ্রেশন হবে তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিলনা। এজন্য তারা গুচ্ছ কমিটির নিকট এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ না করা, প্রতি মেধাতালিকা ৫-৬ দিনে সম্পন্ন করা অর্থাৎ দ্রুত মেধাতালিকা প্রদান করা, অনলাইনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্বের ভর্তি শেষের দিন থেকে ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা, সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভাগভিত্তিক অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা।

এছাড়াও তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন না হলে পাঠদান শুরু না করা, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে মাইগ্রেশন চালু বা বন্ধ করার সুযোগ রাখা এবং একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ কতবার মাইগ্রেশন করতে পারবেন তার নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাহারিমা তাবাসসুম বলেন, “আমরা মাইগ্রেশনের বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশায় আছি। এজন্য আমরা এসম্পর্কিত কিছু যৌক্তিক দাবি পেশ করেছি। আশাকরি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই এসব দাবির সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন না।”

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুচ্ছভুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, “আসলে শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সাথে আমিও একমত। কিছু অব্যবস্থাপনার জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর কিছু না কিছু আসন খালি থেকে যায়। এটা আসলে দুঃখজনক। অনেক শিক্ষার্থী প্রথমে বঞ্চিত হয়ে অন্যত্র চলে যান। এটির একটা ব্যবস্থা হওয়া উচিত।”