নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীকে সংযুক্তি দেওয়া হবে না ঢাবির এস এম হলে

  • Update Time : ১২:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
  • / 163

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এস এম হল) বারান্দার সিলিংয়ে ফাটলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এই হলে নতুন শিক্ষাবর্ষে কোনো ছাত্রকে সংযুক্তি দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কক্ষ বরাদ্দ দিয়ে বারান্দা খালি করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

এস এম হল পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার প্রস্তুতি দেখতে উপাচার্য ওই হলে যান।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এই হল নিয়ে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনমতে, এই হলে যে পরিমাণ কক্ষ ও সিট রয়েছে, এর বাইরে অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা হলটির নেই। তাই আমরা এই হলে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। এই হলে নতুন সংযুক্তি দেওয়া হবে না, যাতে হলটি হালকা রাখা যায়। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।’

উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর এক অতি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বলেন, হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই বারান্দায় কোনো ধরনের খাট বা বিছানাজাতীয় ভারী আসবাব রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বারান্দায় কোনো ছাত্র থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দায় রাখা নিজ নিজ বিছানাপত্র ও খাটগুলো সরিয়ে নিতে হবে। নয়তো হল কর্তৃপক্ষ এসব খাট বা বিছানাপত্র সরিয়ে ফেলবে।

এস এম হলে সিটের প্রবল সংকট থাকায় নবীন শিক্ষার্থীদের বারান্দায় বিছানা করে থাকতে হয়। বারান্দাগুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ‘গণরুম’ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। বারান্দায় থাকা নবীন শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ১৮টি হলেই চলছে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ।

হল পরিদর্শনের সময় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীকে সংযুক্তি দেওয়া হবে না ঢাবির এস এম হলে

Update Time : ১২:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এস এম হল) বারান্দার সিলিংয়ে ফাটলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এই হলে নতুন শিক্ষাবর্ষে কোনো ছাত্রকে সংযুক্তি দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের দ্রুত কক্ষ বরাদ্দ দিয়ে বারান্দা খালি করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

এস এম হল পরিদর্শনে গিয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার প্রস্তুতি দেখতে উপাচার্য ওই হলে যান।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এই হল নিয়ে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনমতে, এই হলে যে পরিমাণ কক্ষ ও সিট রয়েছে, এর বাইরে অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা হলটির নেই। তাই আমরা এই হলে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। এই হলে নতুন সংযুক্তি দেওয়া হবে না, যাতে হলটি হালকা রাখা যায়। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে।’

উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর এক অতি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান বলেন, হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই বারান্দায় কোনো ধরনের খাট বা বিছানাজাতীয় ভারী আসবাব রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বারান্দায় কোনো ছাত্র থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দায় রাখা নিজ নিজ বিছানাপত্র ও খাটগুলো সরিয়ে নিতে হবে। নয়তো হল কর্তৃপক্ষ এসব খাট বা বিছানাপত্র সরিয়ে ফেলবে।

এস এম হলে সিটের প্রবল সংকট থাকায় নবীন শিক্ষার্থীদের বারান্দায় বিছানা করে থাকতে হয়। বারান্দাগুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ‘গণরুম’ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। বারান্দায় থাকা নবীন শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য ১৮টি হলেই চলছে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ।

হল পরিদর্শনের সময় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।