নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ঘটবে পটচিত্রের বিপ্লব : নিখিল চন্দ্র দাস
- Update Time : ১১:১৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
- / 348
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ঘটবে পটচিত্রের বিপ্লব। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পটচিত্র কর্মশালায় এসে এমনই মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট পটচিত্র শিল্পী নিখিল চন্দ্র দাস। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দুইদিন ব্যাপী পটচিত্র কর্মশালা। উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট পটচিত্র শিল্পী নিখিল চন্দ্র দাস। এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক দায়িত্বে ছিলেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর দুইদিন ব্যাপী চলে এই কর্মশালা।
পটচিত্র বাংলার মানুষের দ্বারা বস্ত্রের বা তার উপর নির্মিত এক ধরনের লোকচিত্র। এটি প্রাচীন বাংলার একটি ঐতিহ্য। যারা পটচিত্র আঁকেন কলে পটুয়া বলা হয়৷ পটচিত্রই ছিল প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যের বাহাক। পটচিত্রের মধ্যে গার পট এবং পশ্চিমবঙ্গের পটচিত্রের মধ্যে কালীঘাটের বেশ পটজী অনেক। পটচিত্রের সোনালী ইতিহাস ঐতিহ্য থাকলেও কালের বিবর্তন ক্রমে এই পটচিত্র শিল্প হারিয়ে যাবার উপক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই শিল্প ছড়িয়ে দিতেই পটচিত্র কর্মশালার আয়োজন করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে এসে তাদের মাঝে আগ্রহ উদ্দীপনা দেখে প্রশিক্ষক নিখিল চন্দ্র দাস বিডিসমাচার কে জানান যে “আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পটচিত্র শিল্পের কাজের আগ্রহ দেখে সত্যিই মুগ্ধ। পটশিল্প কাজের সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখে আমার মনে হচ্ছে এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেই ঘটবে পটচিত্রের বিপ্লব। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করবো। কিছু শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে৷ দেশের বাহিরে ভারতে গিয়ে পটচিত্র নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে। মূলত শিক্ষার্থীদের পটচিত্রের প্রতি তীব্র আগ্রহ দেখে আমি সত্যিই অনেক বেশি আশাবাদী। তাদের জানার ইচ্ছে তীব্র এবং আগ্রহ অনেক। এই শিল্পের একটি বিপ্লব গড়ে তোলার জন্য বর্তমান প্রজন্মের মাঝে এই শিল্প ছড়িয়ে দিতে হবে”।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, ” মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পটচিত্র শিল্প সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে জানানোর জন্যই আমাদের এই আয়োজন। আমি নিজেও এই পটচিত্র নিয়ে পিএইচডি করেছি। এই জন্য আমি ছুটেছি দেশের বিভিন্ন পথে প্রান্তরে এমনকি পশ্চিম বঙ্গেও গিয়েছি। হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে যাতে এই শিল্পের লালন পালনের চর্চাটা থাকে এই জন্য আমাদের এই পটচিত্র কর্মশালা আয়োজন। আমরা চাই পটশিল্পের বিস্তার প্রজন্মের পর প্রজন্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক।”