তিস্তা পাড়ে এবার ভাঙন আতঙ্ক
- আপডেটের সময়: ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
- / 86
ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাটে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সেই পানি নামতে শুরু করেছে। তবে কমেনি প্লাবিত গ্রামের মানুষের কষ্ট। উল্টো নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের পানিবন্দি লোকজন।
সোমবার বিকাল ৩ টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত রোববার রাত ১১টায় পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারও পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ডুবে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। রোববার রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকাল থেকে পানি নেমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমে গেলেও নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে তবে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন।
হাতীবান্ধা উপজেলার চর গড্ডিমারী গ্রামের আয়নাল হক বলেন, তিস্তার পানি হঠাৎ করে গতকাল বাড়তে শুরু করে ঘরবাড়ি তুলিয়ে যায়। আজকে সকালে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙন বাড়বে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি বেড়ে সোমবার সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহ হচ্ছে। পানি বাড়ার সম্ভবনা আর নেই ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামতে শুরু করায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।





























