খুলনার জোড়াগেট কোরবানীর পশুরহাটের উদ্বোধন

  • Update Time : ০৮:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 44

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে কোরবানির পশুর হাট-উদ্বোধন করা হয়।

কেসিসি প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার রবিবার বিকালে জোড়াগেট বাজার চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোরবানির পশুর হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কেসিসি কর্তৃক প্রতিবছর এ পশুর হাটের আয়োজন করা হয়। সপ্তাহ ব্যাপী পরিচালিত খুলনার সর্ববৃহৎ পশুরহাট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে বড় দু’টি গেট। পুরো হাটটি সাজানো হয়েছে নানা পসরায়।

এষ্টেট অফিসার গাজী সালাহ উদ্দীন বলেন, এবারই প্রথম জোড়াগেট কুরবানী পশুরহাটে ৪% করে হাসিল রাখা হবে। এই নিয়ম এবারই প্রথম চালু করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ৫% করে হাসিল রাখা হতো। এছাড়া বিগত বছরে জোড়াগেট কোরবানী পশুরহাটটি কেসিসি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতো। সংশ্লিস্ট বিভাগের সহযোগিতা চাওয়া হতো। এবারই প্রথম কেসিসির একার নিয়ন্ত্রণে হাট থাকছে না। খুলনার ওয়াসা, কেএমপি, জেলা পুলিশ, র‌্যাব, ওজোপাডিকোসহ সরকারি সকল সংস্থাকে এ হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সুতরাং তাদের দায়বদ্ধতা থেকে এবার তারা হাট পরিচালনা করবেন। তাতে করে ইতিবাচক কার্যক্রম বেশী হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এ হাট খুলনার মধ্যে সর্ববৃহৎ পশুরহাট। যা চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। রাতে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। থাকবে মানুষ ও পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা। থাকবে জাল টাকা সনাক্তকরণের ব্যবস্থা। তবে এবার প্রশাসক ফিতা কেটে সাদামাঠা ভাবে হাট উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ প্রতিনিধি। তবে এবার পশুরহাটের আয়তন কিছুটা হলে কমেছে। বালুর মাঠের একাংশ জুড়ে চলছে বিনোদন। যা আগে থেকেই চলতো বলে সূত্রটি জানান। এছাড়াও বালুর মাঠ পুকুর খনন করে একটি চক্র মাঠটি আরো ছোট করে ফেলেছে। ফলে তার হাটে আগত গরু রাখার জায়গা সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এছাড়া ছাগলের হাটের সামিয়ানা একপাশে এত নীচু করে দেয়া হয়েছে যা গরম বেশী অনুভর হবে। ছামিয়ানা আরো উচু করে দিলে ছাগলের গরম কম লাগতো। কিন্তু ঠিকাদার সামিয়ানা এত নিচু করে দিয়েছে যে তা দিয়ে বাতাস তেমন আসা যাওয়া করতে পারবে না। তবে উদ্বোধনের দিন হাটে কোন পশু দেখা মেলেনি। উদ্বোধন দিনে দর্মক সমাগম মোটামুটি ছিল। তবে পরিচ্ছন্ন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের দৌড়ঝাপ করতে দেখা যায়। কেসিসির ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস বলেন, গরুর হাটের ম্যাঝ বরাবর বৃক্ষ রোপনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করলে হাটে আসা পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই অতি রোদের গরমে গাছের ছায়ায় দাঁড়াতে পারবে। প্রধান অতিথি কোরবানির পশুরহাট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশুরহাটে আগত পশুর মালিকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। হাটের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার এর বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপর থাকবে। হাটে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বন্টন করে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, হাসিলের ক্ষেত্রে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এ বছর আমরা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ থেকে কম করে ৪ শতাংশে এনেছি। তারপরও আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি হাসিল আদায় হবে, যা আমরা সরকারি তহবিলে জমা দেবো। এই পশুরহাটে দলমত নির্বেশেষে সবাই আমাদের সহযোগিতা করছে। জাল টাকা সনাক্ত করার ক্ষেত্রে খুলনার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


খুলনার জোড়াগেট কোরবানীর পশুরহাটের উদ্বোধন

Update Time : ০৮:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে কোরবানির পশুর হাট-উদ্বোধন করা হয়।

কেসিসি প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার রবিবার বিকালে জোড়াগেট বাজার চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোরবানির পশুর হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কেসিসি কর্তৃক প্রতিবছর এ পশুর হাটের আয়োজন করা হয়। সপ্তাহ ব্যাপী পরিচালিত খুলনার সর্ববৃহৎ পশুরহাট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে বড় দু’টি গেট। পুরো হাটটি সাজানো হয়েছে নানা পসরায়।

এষ্টেট অফিসার গাজী সালাহ উদ্দীন বলেন, এবারই প্রথম জোড়াগেট কুরবানী পশুরহাটে ৪% করে হাসিল রাখা হবে। এই নিয়ম এবারই প্রথম চালু করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ৫% করে হাসিল রাখা হতো। এছাড়া বিগত বছরে জোড়াগেট কোরবানী পশুরহাটটি কেসিসি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতো। সংশ্লিস্ট বিভাগের সহযোগিতা চাওয়া হতো। এবারই প্রথম কেসিসির একার নিয়ন্ত্রণে হাট থাকছে না। খুলনার ওয়াসা, কেএমপি, জেলা পুলিশ, র‌্যাব, ওজোপাডিকোসহ সরকারি সকল সংস্থাকে এ হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সুতরাং তাদের দায়বদ্ধতা থেকে এবার তারা হাট পরিচালনা করবেন। তাতে করে ইতিবাচক কার্যক্রম বেশী হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এ হাট খুলনার মধ্যে সর্ববৃহৎ পশুরহাট। যা চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। রাতে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। থাকবে মানুষ ও পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা। থাকবে জাল টাকা সনাক্তকরণের ব্যবস্থা। তবে এবার প্রশাসক ফিতা কেটে সাদামাঠা ভাবে হাট উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ প্রতিনিধি। তবে এবার পশুরহাটের আয়তন কিছুটা হলে কমেছে। বালুর মাঠের একাংশ জুড়ে চলছে বিনোদন। যা আগে থেকেই চলতো বলে সূত্রটি জানান। এছাড়াও বালুর মাঠ পুকুর খনন করে একটি চক্র মাঠটি আরো ছোট করে ফেলেছে। ফলে তার হাটে আগত গরু রাখার জায়গা সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এছাড়া ছাগলের হাটের সামিয়ানা একপাশে এত নীচু করে দেয়া হয়েছে যা গরম বেশী অনুভর হবে। ছামিয়ানা আরো উচু করে দিলে ছাগলের গরম কম লাগতো। কিন্তু ঠিকাদার সামিয়ানা এত নিচু করে দিয়েছে যে তা দিয়ে বাতাস তেমন আসা যাওয়া করতে পারবে না। তবে উদ্বোধনের দিন হাটে কোন পশু দেখা মেলেনি। উদ্বোধন দিনে দর্মক সমাগম মোটামুটি ছিল। তবে পরিচ্ছন্ন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের দৌড়ঝাপ করতে দেখা যায়। কেসিসির ভেটেরিনারি অফিসার ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস বলেন, গরুর হাটের ম্যাঝ বরাবর বৃক্ষ রোপনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করলে হাটে আসা পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই অতি রোদের গরমে গাছের ছায়ায় দাঁড়াতে পারবে। প্রধান অতিথি কোরবানির পশুরহাট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশুরহাটে আগত পশুর মালিকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। হাটের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার এর বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপর থাকবে। হাটে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বন্টন করে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন কাজ করবে।

তিনি আরও জানান, হাসিলের ক্ষেত্রে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এ বছর আমরা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ থেকে কম করে ৪ শতাংশে এনেছি। তারপরও আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি হাসিল আদায় হবে, যা আমরা সরকারি তহবিলে জমা দেবো। এই পশুরহাটে দলমত নির্বেশেষে সবাই আমাদের সহযোগিতা করছে। জাল টাকা সনাক্ত করার ক্ষেত্রে খুলনার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।