ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, নারীদের ধোলাই খেয়ে বহিষ্কার প্রধান শিক্ষক

  • Update Time : ০৮:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
  • / 168

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারসহ ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে ওই ছাত্রীর মা নারীদের ডেকে এনে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে অবরুদ্ধ করেন। গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী।

শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মুশুশিয়া গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

এরই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী ওই ছাত্রীকে ছুটির পর বিদ্যালয়ে থাকতে বলে। এরপর শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে।

ওই ছাত্রীর মা শনিবার এলাকার নারীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে গুরুদাস মিস্ত্রীকে মারধর করে লাইব্রেরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জনরোষ থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাথে সাথে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং ওই বিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে গুরুদাস মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, গুরুদাস মিস্ত্রী এর আগেও এই বিদ্যালয়ে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তার শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে গুরুদাস মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media


ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, নারীদের ধোলাই খেয়ে বহিষ্কার প্রধান শিক্ষক

Update Time : ০৮:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারসহ ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে ওই ছাত্রীর মা নারীদের ডেকে এনে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে অবরুদ্ধ করেন। গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী।

শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মুশুশিয়া গ্রামের ভদ্রকান্ত মিস্ত্রীর ছেলে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২২নং শৌলদহ মুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

এরই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী ওই ছাত্রীকে ছুটির পর বিদ্যালয়ে থাকতে বলে। এরপর শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে।

ওই ছাত্রীর মা শনিবার এলাকার নারীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে গুরুদাস মিস্ত্রীকে মারধর করে লাইব্রেরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জনরোষ থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার ঢালী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাথে সাথে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং ওই বিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে গুরুদাস মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, গুরুদাস মিস্ত্রী এর আগেও এই বিদ্যালয়ে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তার শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে গুরুদাস মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, শিক্ষক গুরুদাস মিস্ত্রীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং ওই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।