সুদানে সরকার ভেঙে জরুরি অবস্থা জারি

  • Update Time : ০৯:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
  • / 196

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌম কাউন্সিল ও সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। সুদানের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে আটকের পর সামরিক প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক ঘোষণায় জরুরি অবস্থা জারি করেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল তা বর্তমানে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে গৃহবন্দি করে দেশটির সেনাবাহিনী। ২৫ অক্টোবর সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অজ্ঞাত একটি ফোর্স তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর পরপরই রাজনৈতিক সংকটে টালমাটাল দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে পেইজে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের অজ্ঞাতস্থানে রাখা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের বিরোধিতায় রাজপথে বিক্ষোভ নেমেছেন সুদানের গণতন্ত্রকামী জনগণ। বিক্ষোভস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেনা সদর দফতরে প্রবেশের চেষ্টা চালালে বাধার মুখে পড়েন বিক্ষুব্ধরা।

অভ্যুত্থানের পর দেশটির বেশিরভাগ সরকারি দফতর, মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানী খার্তুমে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এ অবস্থায় দেশটিতে টেলিযোগাযোগ সীমিত করে দেওয়ায় সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেওয়ার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির দুর্বল একটি চুক্তিতে উপনীত হয় সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলো। ওই চুক্তির আলোকেই গত দুই বছর ধরে দেশটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে বশিরের অনুসারী সামরিক কর্মকর্তাদের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরমধ্যে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সুদানে সরকার ভেঙে জরুরি অবস্থা জারি

Update Time : ০৯:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌম কাউন্সিল ও সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। সুদানের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে আটকের পর সামরিক প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক ঘোষণায় জরুরি অবস্থা জারি করেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল তা বর্তমানে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে গৃহবন্দি করে দেশটির সেনাবাহিনী। ২৫ অক্টোবর সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর অজ্ঞাত একটি ফোর্স তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর পরপরই রাজনৈতিক সংকটে টালমাটাল দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে পেইজে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের অজ্ঞাতস্থানে রাখা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের বিরোধিতায় রাজপথে বিক্ষোভ নেমেছেন সুদানের গণতন্ত্রকামী জনগণ। বিক্ষোভস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। সেনা সদর দফতরে প্রবেশের চেষ্টা চালালে বাধার মুখে পড়েন বিক্ষুব্ধরা।

অভ্যুত্থানের পর দেশটির বেশিরভাগ সরকারি দফতর, মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানী খার্তুমে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এ অবস্থায় দেশটিতে টেলিযোগাযোগ সীমিত করে দেওয়ায় সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেওয়ার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির দুর্বল একটি চুক্তিতে উপনীত হয় সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলো। ওই চুক্তির আলোকেই গত দুই বছর ধরে দেশটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে বশিরের অনুসারী সামরিক কর্মকর্তাদের অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরমধ্যে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হল।