এক্সিডেন্টের পর সুস্থ হয়ে যা বললেন জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার

  • Update Time : ১২:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 518

ছবি: অভিনেতা খায়রুল বাসার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

”নেটওয়ার্কের বাইরে” নাটকটির শুটিং শেষ করে নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা খায়রুল বাসারসহ পুরো টিম গিয়েছিল গেট টুগেদারে। আসার পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত তিনটায় রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

শিল্পীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেলে গাড়ির সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে অভিনেতা খায়রুল বাসারসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন তারা পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অনেকটাই সুস্থের দিকে।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা খায়রুল বাসারের নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

এক মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ,গায়ের চামড়া পুড়িয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে ডুবিয়ে, খাওয়া দাওয়ার নিয়ম ভুলে , প্রিয় পরিবার বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থেকে, আমরা একটা সিনেমা আপনাদের সামনে এনেছি – “নেটওয়ার্কের বাইরে “।

আপনারা কাজটাকে আপন করে নিয়েছেন , কাজটাকে ভালোবেসেছেন। ভালোবাসা জানিয়েছেন এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি।

 

 

 

 

 

 

খায়রুল বাসার
                                          ছবি: অভিনেতা খায়রুল বাসার

আর এখানে যারা পরিশ্রম করেছেন কলাকুশলী সবাই একটা গেটটুগেদারের আয়োজন করেছিলাম আমরা। একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে যা স্রেফ একাটা এক্সিডেন্ট আমার কাছে । আমাদের রক্ত ঝরেছে , আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন , শুকরিয়া । আপনাদের ভালোবাসা আর দোআই হয়তো আমাদের নিরাপদ রেখেছে । আমরা অসুস্থতায় কাটাচ্ছি , ইনশাল্লাহ আমরা সুস্থ হয়ে উঠবো এবং আপনাদের জন্যই কাজে ফিরবো আবার।

আমি অনেকটাই সুস্থ।পুরো সুস্থ হতে আর কিছুদিন লাগবে । দোআ আর ভালোবাসায় রাখবেন। আপনাদের প্রতি আমার এক হৃদয় ভালোবাসা।

আরেকটা প্রত্যাশা রাখি , একদিন ঘুম ভেঙে দেখবো কোন এক পরশপাথরের ছোঁয়ায় আমাদের মাঝে স্বশিক্ষার বোধ কাজ করছে, আমরা মানবিক এবং উদার হয়ে উঠেছি, এবং মিতভাষী হয়ে উঠেছি। আমরা নিজেদের অন্তর্যামী ভাবছি না আর। এই প্রত্যাশা বুকের যেখানটায় ব্যথা সেখানেই রইলো।

“এতো ক্ষয়, এতো ভুল জ’মে ওঠে বুকের বুননে,
এই আঁখি জানে, পাখিরাও জানে কতোটা ক্ষরণ
কতোটা দ্বিধায় সন্ত্রাসে ফুল ফোটে না শাখায়।
তুমি জানো না__আমি তো জানি,
কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান,
এতো হাসি নিয়ে বুকে
নিশ্চুপ হয়ে থাকি”
ভালোবাসা আপনাদের …

Please Share This Post in Your Social Media


এক্সিডেন্টের পর সুস্থ হয়ে যা বললেন জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার

Update Time : ১২:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

”নেটওয়ার্কের বাইরে” নাটকটির শুটিং শেষ করে নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা খায়রুল বাসারসহ পুরো টিম গিয়েছিল গেট টুগেদারে। আসার পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত তিনটায় রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

শিল্পীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেলে গাড়ির সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে অভিনেতা খায়রুল বাসারসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন তারা পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অনেকটাই সুস্থের দিকে।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা খায়রুল বাসারের নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

এক মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ,গায়ের চামড়া পুড়িয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে ডুবিয়ে, খাওয়া দাওয়ার নিয়ম ভুলে , প্রিয় পরিবার বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থেকে, আমরা একটা সিনেমা আপনাদের সামনে এনেছি – “নেটওয়ার্কের বাইরে “।

আপনারা কাজটাকে আপন করে নিয়েছেন , কাজটাকে ভালোবেসেছেন। ভালোবাসা জানিয়েছেন এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি।

 

 

 

 

 

 

খায়রুল বাসার
                                          ছবি: অভিনেতা খায়রুল বাসার

আর এখানে যারা পরিশ্রম করেছেন কলাকুশলী সবাই একটা গেটটুগেদারের আয়োজন করেছিলাম আমরা। একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে যা স্রেফ একাটা এক্সিডেন্ট আমার কাছে । আমাদের রক্ত ঝরেছে , আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন , শুকরিয়া । আপনাদের ভালোবাসা আর দোআই হয়তো আমাদের নিরাপদ রেখেছে । আমরা অসুস্থতায় কাটাচ্ছি , ইনশাল্লাহ আমরা সুস্থ হয়ে উঠবো এবং আপনাদের জন্যই কাজে ফিরবো আবার।

আমি অনেকটাই সুস্থ।পুরো সুস্থ হতে আর কিছুদিন লাগবে । দোআ আর ভালোবাসায় রাখবেন। আপনাদের প্রতি আমার এক হৃদয় ভালোবাসা।

আরেকটা প্রত্যাশা রাখি , একদিন ঘুম ভেঙে দেখবো কোন এক পরশপাথরের ছোঁয়ায় আমাদের মাঝে স্বশিক্ষার বোধ কাজ করছে, আমরা মানবিক এবং উদার হয়ে উঠেছি, এবং মিতভাষী হয়ে উঠেছি। আমরা নিজেদের অন্তর্যামী ভাবছি না আর। এই প্রত্যাশা বুকের যেখানটায় ব্যথা সেখানেই রইলো।

“এতো ক্ষয়, এতো ভুল জ’মে ওঠে বুকের বুননে,
এই আঁখি জানে, পাখিরাও জানে কতোটা ক্ষরণ
কতোটা দ্বিধায় সন্ত্রাসে ফুল ফোটে না শাখায়।
তুমি জানো না__আমি তো জানি,
কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান,
এতো হাসি নিয়ে বুকে
নিশ্চুপ হয়ে থাকি”
ভালোবাসা আপনাদের …