অভিনেত্রী অঞ্জনার মৃত্যুতে বাচসাসের শোক

  • Update Time : ০১:২৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 27

অভিনেত্রী অঞ্জনার মৃত্যুতে বাচসাসের শোক

বিনোদন ডেস্ক:

না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

এক শোক বার্তায় বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী অভিনেত্রী অঞ্জনার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা আর পূরণ হবার নয়। আমরা এই গুণী মানুষের মৃত্যুতে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

শোক বার্তায় আরও বলা হয়, অভিনেত্রী অঞ্জনা শুধু আমাদের স্বজন নন, অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দেশ তথা দেশের মানুষকে ঋণী করে রেখেছেন।

অনন্য অভিনয়ের জন্য ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্যভিত্তিক এই সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, সখী তুমি কার, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ, বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।

Please Share This Post in Your Social Media


অভিনেত্রী অঞ্জনার মৃত্যুতে বাচসাসের শোক

Update Time : ০১:২৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:

না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

এক শোক বার্তায় বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী অভিনেত্রী অঞ্জনার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা আর পূরণ হবার নয়। আমরা এই গুণী মানুষের মৃত্যুতে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

শোক বার্তায় আরও বলা হয়, অভিনেত্রী অঞ্জনা শুধু আমাদের স্বজন নন, অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দেশ তথা দেশের মানুষকে ঋণী করে রেখেছেন।

অনন্য অভিনয়ের জন্য ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্যভিত্তিক এই সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, সখী তুমি কার, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ, বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।