‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বাবা’

  • Update Time : ০৩:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • / 202

ভারতের সেশন কোর্টে জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ছেলের জন্য এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পরিবার।

তার আগেই বন্দী ছেলেকে দেখতে প্রথমবার জেলে গেছেন শাহরুখ খান। জেলে প্রায় ২০ মিনিট সময় কাটান শাহরুখ খান।

জানা গেছে, জেলে ছেলেকে দেখে ভেঙে পড়েন শাহরুখ। জেলের খাবার খেতে পারছেন না আরিয়ান। সেখানের শৌচাগারও ব্যবহারে অনীহা তার। এই কয়দিনেই আরিয়ানের শরীর-স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে গেছে। ছেলের এই শোচনীয় অবস্থা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি শাহরুখ।

আরিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় মাঝে মাঝেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এ সময় আরিয়ান তারা বাবাকে বলে ‘আই অ্যাম সরি বাবা- আমি খুবই দুঃখিত’। জবাবে কিং খান বলেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বাবা’।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, সুপারস্টার হওয়ার পরেও ছেলের সঙ্গে দেখা করার সময় শাহরুখ খানকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। অন্যান্য বন্দীদের পরিজন জেলে যেভাবে দেখা করেন, শাহরুখও সেভাবেই আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন। জেলের ভেতর আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করার আগে শাহরুখের ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র আধার কার্ড অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করা হয়। এরপর হাতে একটা টোকেন দিয়ে ভেতরে পাঠানো হয়। সাক্ষাৎকালে ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে পারেননি শাহরুখ। তাদের দুজনের মধ্যে একটা কাচের দেয়াল ছিল। ইন্টারকমে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। বাবা-ছেলের কথোপকথনের সময় চারজন কারারক্ষী উপস্থিত ছিলেন।

শাহরুখ অবশ্য ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আড়ালেই রাখতে চেয়েছিলেন। বড় কনভয় বা বড় গাড়ি নিয়ে তিনি আর্থার রোড জেলে যাননি সেদিন।

কালো কাঁচের একটি ছোট গাড়িতে করেই জেলের মূল ফটকে নামেন ভোরেই।

তবে শাহরুখের আসার খবর আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ফলে তারা আর্থার রোড জেলের মূল ফটকের বাইরে ভিড় করেছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media


‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বাবা’

Update Time : ০৩:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

ভারতের সেশন কোর্টে জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ছেলের জন্য এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পরিবার।

তার আগেই বন্দী ছেলেকে দেখতে প্রথমবার জেলে গেছেন শাহরুখ খান। জেলে প্রায় ২০ মিনিট সময় কাটান শাহরুখ খান।

জানা গেছে, জেলে ছেলেকে দেখে ভেঙে পড়েন শাহরুখ। জেলের খাবার খেতে পারছেন না আরিয়ান। সেখানের শৌচাগারও ব্যবহারে অনীহা তার। এই কয়দিনেই আরিয়ানের শরীর-স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে গেছে। ছেলের এই শোচনীয় অবস্থা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি শাহরুখ।

আরিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় মাঝে মাঝেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এ সময় আরিয়ান তারা বাবাকে বলে ‘আই অ্যাম সরি বাবা- আমি খুবই দুঃখিত’। জবাবে কিং খান বলেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি বাবা’।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, সুপারস্টার হওয়ার পরেও ছেলের সঙ্গে দেখা করার সময় শাহরুখ খানকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। অন্যান্য বন্দীদের পরিজন জেলে যেভাবে দেখা করেন, শাহরুখও সেভাবেই আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন। জেলের ভেতর আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করার আগে শাহরুখের ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র আধার কার্ড অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করা হয়। এরপর হাতে একটা টোকেন দিয়ে ভেতরে পাঠানো হয়। সাক্ষাৎকালে ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে পারেননি শাহরুখ। তাদের দুজনের মধ্যে একটা কাচের দেয়াল ছিল। ইন্টারকমে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। বাবা-ছেলের কথোপকথনের সময় চারজন কারারক্ষী উপস্থিত ছিলেন।

শাহরুখ অবশ্য ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আড়ালেই রাখতে চেয়েছিলেন। বড় কনভয় বা বড় গাড়ি নিয়ে তিনি আর্থার রোড জেলে যাননি সেদিন।

কালো কাঁচের একটি ছোট গাড়িতে করেই জেলের মূল ফটকে নামেন ভোরেই।

তবে শাহরুখের আসার খবর আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ফলে তারা আর্থার রোড জেলের মূল ফটকের বাইরে ভিড় করেছিলেন।