নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজের

  • Update Time : ০২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 115

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়ন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এই অবরোধ শুরু করেছেন তারা।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে নীলক্ষেত মোড়কে ঘিরে সবগুলো সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

আন্দোলনের অংশ নেওয়ার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। এই দায়ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ প্রশাসনকে নিতে হবে। সাত কলেজের সক্ষমতা না থাকা এবং নানামুখী সংকটের পরও বিশ্ববিদ্যালয় জোর করে সিজিপিএ শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে।

মূলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ নীতিমালার শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে নীলক্ষেতে অবরোধ, প্রেস ক্লাবে অনশনসহ বিভিন্নভাবে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সাত কলেজের স্নাতকের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা।

তাদের একদফা দাবিটি হলো- নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিজিপিএ শর্তে এখন পর্যন্ত নিজেদের অনড় অবস্থান বজায় রেখেছেন। যার ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে দোটানায় পড়েছেন সাত কলেজের কয়েকশ‘ শিক্ষার্থী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজের

Update Time : ০২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সর্বোচ্চ তিন কোর্স পর্যন্ত মানোন্নয়ন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এই অবরোধ শুরু করেছেন তারা।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে নীলক্ষেত মোড়কে ঘিরে সবগুলো সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

আন্দোলনের অংশ নেওয়ার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। এই দায়ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ প্রশাসনকে নিতে হবে। সাত কলেজের সক্ষমতা না থাকা এবং নানামুখী সংকটের পরও বিশ্ববিদ্যালয় জোর করে সিজিপিএ শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে।

মূলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ নীতিমালার শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে নীলক্ষেতে অবরোধ, প্রেস ক্লাবে অনশনসহ বিভিন্নভাবে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সাত কলেজের স্নাতকের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা।

তাদের একদফা দাবিটি হলো- নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিজিপিএ শর্তে এখন পর্যন্ত নিজেদের অনড় অবস্থান বজায় রেখেছেন। যার ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে দোটানায় পড়েছেন সাত কলেজের কয়েকশ‘ শিক্ষার্থী।