৪৬তম বিসিএসের ফল পুনরায় দেয়ার সিদ্ধান্ত

  • Update Time : ১০:০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / 35

৪৬তম বিসিএসের ফল আবার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। একসঙ্গে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীর আবারও মৌখিক পরীক্ষা (ভাইবা) নেয়া হবে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানায় পিএসসি।

পিএসসি সূত্রে জানা যায়, সভায় ৪৪তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সরকার পতনের পর ২৫ আগস্ট বাকি মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে। মৌখিক পরীক্ষায় সমমান বজায় রাখার জন্য পূর্বের কমিশন কর্তৃক নেওয়া ৪৪তম বিসিএস ২০২১ এর আংশিক অর্থাৎ ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিগগিরই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।

এছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান এবং দ্বিতীয় পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কমিশন সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের নিকট পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

পিএসসি সূত্রে আরও জানা যায়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, ৪৬তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বিগত ৯ মে ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০,৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাথে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৪৬তম বিসিএসের ফল পুনরায় দেয়ার সিদ্ধান্ত

Update Time : ১০:০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

৪৬তম বিসিএসের ফল আবার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। একসঙ্গে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীর আবারও মৌখিক পরীক্ষা (ভাইবা) নেয়া হবে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানায় পিএসসি।

পিএসসি সূত্রে জানা যায়, সভায় ৪৪তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সরকার পতনের পর ২৫ আগস্ট বাকি মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে। মৌখিক পরীক্ষায় সমমান বজায় রাখার জন্য পূর্বের কমিশন কর্তৃক নেওয়া ৪৪তম বিসিএস ২০২১ এর আংশিক অর্থাৎ ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিগগিরই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।

এছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান এবং দ্বিতীয় পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কমিশন সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের নিকট পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

পিএসসি সূত্রে আরও জানা যায়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, ৪৬তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বিগত ৯ মে ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০,৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাথে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।