ঢাবিতে ‘কালো দিবস’ পালিত

  • Update Time : ১২:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / 170

মুহাম্মদ ইমাম-উল-জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার, (২৩ আগস্ট) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের গণবিচ্ছিন্ন কিছু মানুষ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক পন্থায় সেদিন ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে ক্ষমতালিপ্সু সেই অপশক্তি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। এসব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট বিভীষিকাময় ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ করে উপাচার্য আরও বলেন, “সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু’র রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা তখন সম্মিলিতভাবে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলাম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অপশক্তির অপশাসনের অবসান চেয়েছিলাম।গণমানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। ফলে আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছেছিল এবং আমরা দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।”

২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনা ক্যাম্প স্থাপন এবং ক্যাম্প স্থাপনের অনুমতি দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, তা ছিল প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বহীনতার চরম বহি:প্রকাশ।দেশের রাজনৈতিক ধারা বাধাগ্রস্ত হলে সমগ্র জাতি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে বলে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা জরুরি বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, কারা নির্যাতিত ছাত্র মানবেন্দ্র দেব ও মো. তৈয়ব আলী, ছাত্রনেতা মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর, ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত হয়ে থাকে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে ‘কালো দিবস’ পালিত

Update Time : ১২:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

মুহাম্মদ ইমাম-উল-জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার, (২৩ আগস্ট) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের গণবিচ্ছিন্ন কিছু মানুষ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক পন্থায় সেদিন ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে ক্ষমতালিপ্সু সেই অপশক্তি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। এসব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট বিভীষিকাময় ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ করে উপাচার্য আরও বলেন, “সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু’র রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা তখন সম্মিলিতভাবে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলাম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অপশক্তির অপশাসনের অবসান চেয়েছিলাম।গণমানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। ফলে আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছেছিল এবং আমরা দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।”

২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনা ক্যাম্প স্থাপন এবং ক্যাম্প স্থাপনের অনুমতি দেয়ার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, তা ছিল প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বহীনতার চরম বহি:প্রকাশ।দেশের রাজনৈতিক ধারা বাধাগ্রস্ত হলে সমগ্র জাতি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে বলে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা জরুরি বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, কারা নির্যাতিত ছাত্র মানবেন্দ্র দেব ও মো. তৈয়ব আলী, ছাত্রনেতা মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর, ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত হয়ে থাকে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।