নজরুলের সাহিত্যকর্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং ঐক্যবদ্ধ হতে শেখায় : ঢাবি উপাচার্য

- Update Time : ০৭:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 86
জাননাহ, বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্যকর্ম থেকে শিক্ষা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার শিক্ষা দেয়। সর্বাবস্থায় সাম্য ও শান্তি বজায় রেখে নিজেদের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখার শিক্ষাও আমরা নজরুলের সাহিত্যকর্ম থেকেই পাই।
রবিবার ২৫ মে ২০২৫ (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ‘চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, নজরুলকে বুঝতে এবং তাঁর সাহিত্যের গভীরতা অনুধাবন করতে হলে একজন সত্যিকারের মানুষ হতে হবে। জাতীয় কবিকে তিনি সাম্যের কবি, বিদ্রোহের কবি, প্রেমের কবি, শান্তির কবি ও সব্যসাচী কবি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ব্যক্তি জীবনেও তিনি বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন। তাঁর এই বহুমাত্রিকতা যুগে যুগে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর নামে একটি হলের নামকরণের বিষয়টি আমরা আন্তরিকভাবে বিবেচনায় রেখেছি।
স্মরণসভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন ।
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচি অনুযায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ আজ সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হন এবং শোভাযাত্রা সহকারে কবি’র সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।