পুলিশের লাঠিচার্জে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম কর্মী আহত”

  • Update Time : ০৬:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 78

জবি প্রতিনিধি ,

তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান নিক্ষেপে আহত হয় প্রায় অর্ধ-শতাধিক।
আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে লংমার্চে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তাঁরা মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যান। লংমার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধ শতাধিক । তাঁদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজকের লংমার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো;
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পুলিশের লাঠিচার্জে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম কর্মী আহত”

Update Time : ০৬:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

জবি প্রতিনিধি ,

তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান নিক্ষেপে আহত হয় প্রায় অর্ধ-শতাধিক।
আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে লংমার্চে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তাঁরা মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যান। লংমার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধ শতাধিক । তাঁদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজকের লংমার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো;
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।