জবি শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে লংমার্চ, ‍পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল

  • Update Time : ০২:১৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 66

আবাসন সংকটসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনায়’ পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান কর্মসূচিতে আসা কয়েক শিক্ষার্থী।

এর আগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কাকড়াইল এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তাদের লংমার্চ।

এদিকে পুলিশের বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ে নানা স্লোগান দিতে শুরু করেন। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি রক্ত আরও দেব রক্ত ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

তাদের সরাতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘জবি ঐক্য’ তিন দফা দাবিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকেই কার্যকর করতে হবে; ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে; জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে সোমবার (১২ মে) এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি তুলে ধরেন। পরদিন মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বাজেট ও আবাসন সংকট নিয়ে আলোচনা হলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—তারা সুনির্দিষ্টভাবে দাবি উপস্থাপন করলেও ইউজিসি পূর্বের মতোই কেবল ‘দায়সারা’ আশ্বাস দিয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জবি শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে লংমার্চ, ‍পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল

Update Time : ০২:১৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আবাসন সংকটসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনায়’ পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান কর্মসূচিতে আসা কয়েক শিক্ষার্থী।

এর আগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কাকড়াইল এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তাদের লংমার্চ।

এদিকে পুলিশের বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ে নানা স্লোগান দিতে শুরু করেন। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি রক্ত আরও দেব রক্ত ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

তাদের সরাতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘জবি ঐক্য’ তিন দফা দাবিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকেই কার্যকর করতে হবে; ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে; জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে সোমবার (১২ মে) এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি তুলে ধরেন। পরদিন মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বাজেট ও আবাসন সংকট নিয়ে আলোচনা হলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—তারা সুনির্দিষ্টভাবে দাবি উপস্থাপন করলেও ইউজিসি পূর্বের মতোই কেবল ‘দায়সারা’ আশ্বাস দিয়েছে।