ঢাকা কলেজের হলে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর আ’টকে রেখে নির্যাতন
- Update Time : ১১:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
- / 72
জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি:
ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ন আবাসিক হল এর ৩০১ নাম্বার রুমে ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের মারুফ নামের শিক্ষার্থীকে রাতভর আ’টকে রেখে নি’র্যাত’নের অভিযোগ এসেছে
নির্যাতনের শিকার মারুফের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে গতকাল রাতে আমার জীবনের সব থেকে জগণ্য কালো অধ্যায়ের রচনা হয়।
ঢাকা কলেজের দক্ষিণায়ণ হলে ৩০১ নাম্বার রুমে গতকাল রাত ১ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত আমার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন। যারা নির্যাতন করে তারা হলো, রাহাত (দক্ষিণায়ণ ৩০১, ম্যানেজমেন্ট ৪র্থ বর্ষ), সালাউদ্দিন (পরিচয় জানতে পারিনি), শিহাব (৪র্থ বর্ষ, নর্থ হল) এবং অর্ণব (৪র্থ বর্ষ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ,দক্ষিণায়ণ)। সালাউদ্দিন ভাই রুমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিলো। এক পর্যায়ে আমি সালাউদ্দিন ভাই কে বলি ভাইয়া গালাগালি কইরেন না ছোট ভাই পড়ছে পাশে, এর পর আমার উপর তেড়ে আসে মারার জন্য। এক পর্যায়ে আমার রুমের রামিম ভাই এবং ৪ তলার রাহাত ভাই ঠেকাতে আসলে তাদের গালাগালি করে। এর পর রাহাত ভাই নর্থ হল থেকে সিয়াব ভাইকে ডেকে এনে রুম আটকায় দেয় এর পর রাত ১ টা থেকে ৪ পর্যন্ত আমার উপর নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে আমি স্যারদের বলার জন্য ফোন দিতে গেলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
আমি সেসময় কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তখন ডিপার্টমেন্ট বন্ধু সিআর ইমরান কে কল দিয়ে বাঁচাতে বললে সে রাত সাড়ে ৪ টাই আমার হলে নিচে আসে তারপর আমি বের হয়। তাকে সব বলি সে আমাকে কলেজ গেইট পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে যাই তারপর সেখান থেকে বড় ভাইয়ের ঢাবির হলে ঢুকে পড়ি। তারপর সকালে বাড়ি চলে আছি।
নির্যাতনের শিকার মারুফ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। আজ সন্ধায় হল এ নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বিজয় চত্বরে বি’ক্ষোভ করছে ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবি করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব ছাত্রদলের রাজনীর সাথে যুক্ত ছিল। তার সহপাঠীদের থেকে জানা গেছে শিহাবের চলাফেরা ছিল উগ্র সে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের রাজনীতির করত ক্যাম্পাসের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সে ঝামেলায় জড়াত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণায়ন হলের প্রভোস্ট জাহাঙ্গীর আলম বিডি সমাচারকে জানান, আমি অবশ্যই শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। শুরুতে যদি আমি কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে এটা অন্য রুমেও ঘটতে পারে। এমন পদক্ষেপ নিবো যেন ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি বাড়িতে চলে গেছে। যেহেতু তিনি নাই এজন্য পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আমি অধ্যক্ষ স্যারের সাথে কথা বলেছি। হলের শৃঙ্খলাবিরোধী যেকোনো বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবো।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম ইলিয়াস বলেন, হল প্রভোস্টরা বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে মতামত জানতে অভিযুক্তদের বার বার ফোন দিলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।