ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
- Update Time : ০৭:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / 130
প্রতিনিধি:
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী এবং সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
এ ঘটনায় রোববার (১৮ জুন) দুপুরে প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদারের কাছে ওই চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুই নম্বর গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নির্বাচনে বাধা দেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নূর উদ্দিন খান, শেখ আহাম্মদ, উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আরমান হোসেন রোমান এবং ছাত্রলীগ কর্মী মো. তামজিদুল ইসলাম।
এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইমরান বিন হামিদ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী কাজি মেহেদী হাসানসহ বেশ কয়েকজন তাদের সহযোগী হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ না করা সত্ত্বেও নূর উদ্দিন খান একজন সাংবাদিককে ‘ভিডিও কেন করছো?’ বলে মোবাইল চেক করতে চান। এ সময় ওই সাংবাদিক প্রতিবাদ জানান। পরে নুর উদ্দিন ও তার অনুসারীরা সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্তা করেন।
এরপর পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক সমিতির দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে চবি ছাত্রলীগের এসব কর্মীরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এসময় সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকসহ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে হেনস্তা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, নূর উদ্দিন খানসহ অভিযুক্তদের নামে এর আগেও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা, মোবাইল চেক করে হুমকিধামকিসহ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। এ ধরনের ঘৃণ্য আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানো হয়।
এ বিষয়ে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, এর আগেও বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা ও হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করবে।
প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এরই মধ্যে রেজিস্ট্রারের কাছে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।