চবিতে বেড়েছে সাপের উপদ্রব

  • Update Time : ১১:১৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 179

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বেড়েছে সাপের উপদ্রব। আবাসিক হলের কক্ষে, দরজার সামনে, রাস্তা-ঘাটে দেখা মিলছে সাপের। গত এক সপ্তাহে আবাসিক হলের অন্তত তিনটি কক্ষে মিলেছে সাপের সন্ধান।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের ২৩৬ নম্বর কক্ষ থেকে ‘ঘরগিন্নি’ সাপ উদ্ধার করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম।

এর আগে ৭ অক্টোবর আলাওল হলের ১১০ নম্বর কক্ষ ও ২ অক্টোবর ১৩৩ নম্বর কক্ষেও সাপ পাওয়া যায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তায়ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপের দেখা পাচ্ছেন পথচারীরা।

গত ২১ অক্টোবর চবির নতুন কলাভবনের একটি কক্ষ থেকে উদ্বার করা হয় বিষধর শঙ্খিনী সাপ। উদ্ধার করে বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণার জন্য হস্তান্তর করা হয় এটিকে। বিষধর হলেও এই সাপ আক্রমণাত্মক নয় বলে জানা যায়। সাধারণত এরা অন্য বিষধর সাপ খেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে।

এ বিষয়ে চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আবাসিক হলগুলোতে ‘ঘরগিন্নি’ বা এজাতীয় নির্বিষ সাপের বিচরণ বেড়েছে। সাধারণত টিকটিকি, তেলাপোকা বা এধরনের পোকামাকড় খেতে সাপেরা বাসাবাড়িতে আসে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সাপের অভয়ারণ্যও বলা যেতে পারে। অনেকদিন পর ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক হয়েছে, শিক্ষার্থীদের চলাফেরা বেড়েছে। তাই সাপের দেখা বেশি মিলছে। দীর্ঘদিন হলগুলো অব্যবহৃত থাকাও একটা কারণ।

বাসাবাড়িতে সাপের আগমন রোধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘর সবসময় পরিচ্ছন্ন ও গোছালো রাখতে হবে। স্তূপ করে কোনো কিছু না রাখার চেষ্টা করতে হবে। ছোটখাটো পোকামাকড় যেন ঘরে বিচরণ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সর্বপরি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চবিতে বেড়েছে সাপের উপদ্রব

Update Time : ১১:১৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বেড়েছে সাপের উপদ্রব। আবাসিক হলের কক্ষে, দরজার সামনে, রাস্তা-ঘাটে দেখা মিলছে সাপের। গত এক সপ্তাহে আবাসিক হলের অন্তত তিনটি কক্ষে মিলেছে সাপের সন্ধান।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের ২৩৬ নম্বর কক্ষ থেকে ‘ঘরগিন্নি’ সাপ উদ্ধার করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম।

এর আগে ৭ অক্টোবর আলাওল হলের ১১০ নম্বর কক্ষ ও ২ অক্টোবর ১৩৩ নম্বর কক্ষেও সাপ পাওয়া যায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তায়ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপের দেখা পাচ্ছেন পথচারীরা।

গত ২১ অক্টোবর চবির নতুন কলাভবনের একটি কক্ষ থেকে উদ্বার করা হয় বিষধর শঙ্খিনী সাপ। উদ্ধার করে বাংলাদেশ ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণার জন্য হস্তান্তর করা হয় এটিকে। বিষধর হলেও এই সাপ আক্রমণাত্মক নয় বলে জানা যায়। সাধারণত এরা অন্য বিষধর সাপ খেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে।

এ বিষয়ে চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আবাসিক হলগুলোতে ‘ঘরগিন্নি’ বা এজাতীয় নির্বিষ সাপের বিচরণ বেড়েছে। সাধারণত টিকটিকি, তেলাপোকা বা এধরনের পোকামাকড় খেতে সাপেরা বাসাবাড়িতে আসে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সাপের অভয়ারণ্যও বলা যেতে পারে। অনেকদিন পর ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক হয়েছে, শিক্ষার্থীদের চলাফেরা বেড়েছে। তাই সাপের দেখা বেশি মিলছে। দীর্ঘদিন হলগুলো অব্যবহৃত থাকাও একটা কারণ।

বাসাবাড়িতে সাপের আগমন রোধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘর সবসময় পরিচ্ছন্ন ও গোছালো রাখতে হবে। স্তূপ করে কোনো কিছু না রাখার চেষ্টা করতে হবে। ছোটখাটো পোকামাকড় যেন ঘরে বিচরণ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সর্বপরি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।