দেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে এ নিয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ হাজার ৩৫২ জন। আর, মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.১১ শতাংশ।
দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ১২৭তম দিনে আজ রবিবার (১২ জুলাই), রাজধানীর মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ সকল তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১২১০ টি। আর, পরীক্ষা করা হয়েছে ১১০৫৯ টি নমুনা। এরমধ্যে ২৬৬ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৪৭ জনের মধ্যে জন পুরুষ ও জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ। এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৫৮০ জন। ফলে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৩ হাজার ৬১৪ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু তারপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। শপিং মল, বাজার, দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। তবে, কিছু জায়গায় রেড জোন চিহ্নিত করে চলছে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে এরইমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৬ লক্ষের বেশি। আর, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের। ইউরোপে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমলেও উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত শীর্ষ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই তিনে অবস্থান করছে ভারত। আর, বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৭ নম্বর অবস্থানে।
