যবিপ্রবিতে মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি

  • Update Time : ০৭:১৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 41

মোস্তফা গালিব, যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডিন, চেয়ারম্যান ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। তিনি বলেছেন, যবিপ্রবির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় তিনি সব সময় এ প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকবেন।

আজ শনিবার বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ। তিনি মতবিনিময় সভার শুরুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও সিনিয়র সাংবাদিক হারুন জামিলের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামসহ উপস্থিত সকলের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন। মতবিনিময় সভায় যবিপ্রবির ডিন, চেয়ারম্যানসহ দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি যবিপ্রবির র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নয়নের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, এই প্রত্যন্ত এলাকার একটা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে রয়েছে এটি অত্যন্ত গর্বের। এটি আপনাদের ধরে রাখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। অনেকেই আপনারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ভূমি অধিগ্রহণের কথা বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আপনারা সব সময় আমাকে পাশে পাবেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি যবিপ্রবি উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক ঢাকা মেইলের হেড অব নিউজ হারুন জামিল বলেন, শিক্ষকদের আমি সব সময় সম্মানের চোখে দেখি। আমার পরিবারের অনেকেই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছি, সেই আকাক্সক্ষার অংশীদার হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ আগত অতিথির ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, গবেষণায় এ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ভালো করছে। যদি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনামূলক তহবিল গঠন করা যায়, তাহলে তারা আরও গবেষণায় উৎসাহী হবে। একইসঙ্গে তিনি ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং অসুস্থদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যবিপ্রবিতে মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি

Update Time : ০৭:১৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

মোস্তফা গালিব, যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডিন, চেয়ারম্যান ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। তিনি বলেছেন, যবিপ্রবির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় তিনি সব সময় এ প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকবেন।

আজ শনিবার বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ। তিনি মতবিনিময় সভার শুরুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও সিনিয়র সাংবাদিক হারুন জামিলের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামসহ উপস্থিত সকলের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন। মতবিনিময় সভায় যবিপ্রবির ডিন, চেয়ারম্যানসহ দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি যবিপ্রবির র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নয়নের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, এই প্রত্যন্ত এলাকার একটা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে রয়েছে এটি অত্যন্ত গর্বের। এটি আপনাদের ধরে রাখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। অনেকেই আপনারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ভূমি অধিগ্রহণের কথা বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আপনারা সব সময় আমাকে পাশে পাবেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি যবিপ্রবি উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক ঢাকা মেইলের হেড অব নিউজ হারুন জামিল বলেন, শিক্ষকদের আমি সব সময় সম্মানের চোখে দেখি। আমার পরিবারের অনেকেই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছি, সেই আকাক্সক্ষার অংশীদার হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ আগত অতিথির ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, গবেষণায় এ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ভালো করছে। যদি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনামূলক তহবিল গঠন করা যায়, তাহলে তারা আরও গবেষণায় উৎসাহী হবে। একইসঙ্গে তিনি ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং অসুস্থদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেন।