পবিপ্রবি’তে ১৫ তম দিনে গড়ালো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

  • Update Time : ০৩:২৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • / 39

পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ তম দিনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। 

১৫ জুলাই (সোমবার ) বেলা ১১ টায়  ১৫ তম দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি  কৃষি অনুষদের সামনে  আর কর্মকর্তা পরিষদ  ও কর্মচারী ইউনিয়ন  প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে।  এই সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।  স্থবির হয়ে পড়েছে পবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম। দেখা দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশা ও  সেশনজটের আশঙ্কা।

পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া (মুন্না) শিক্ষার্থীদের কে বলেন, ” এটা বাস্তবতা যে, আমাদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য আমরা ব্যাথিত। আমরা দ্রুত ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যেতে চাই। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। শিক্ষকদের প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দিতেই হবে। আমরা শুধু আমাদের জন্য এই আন্দোলন করছিনা বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানিত করার জন্য আমরা কাজ করছি।”

পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি জেহাদ পারভেজ বলেন, ” আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন এর সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ”
অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য একটি মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ” জয় বাংলা ” চত্বরে সমবেত হয়ে তাদের দাবি পেশ করেন। এসময় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় ,আমাদের এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয় । এ আন্দোলন আমাদের রুটি ও জীবন জীবিকার আন্দোলন, আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চাকরির শেষে সুখে থাকার আন্দোলন । ”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পবিপ্রবি’তে ১৫ তম দিনে গড়ালো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

Update Time : ০৩:২৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ তম দিনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। 

১৫ জুলাই (সোমবার ) বেলা ১১ টায়  ১৫ তম দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি  কৃষি অনুষদের সামনে  আর কর্মকর্তা পরিষদ  ও কর্মচারী ইউনিয়ন  প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে।  এই সময় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।  স্থবির হয়ে পড়েছে পবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম। দেখা দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশা ও  সেশনজটের আশঙ্কা।

পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া (মুন্না) শিক্ষার্থীদের কে বলেন, ” এটা বাস্তবতা যে, আমাদের আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য আমরা ব্যাথিত। আমরা দ্রুত ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যেতে চাই। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। শিক্ষকদের প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দিতেই হবে। আমরা শুধু আমাদের জন্য এই আন্দোলন করছিনা বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানিত করার জন্য আমরা কাজ করছি।”

পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি জেহাদ পারভেজ বলেন, ” আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন এর সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ”
অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য একটি মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ” জয় বাংলা ” চত্বরে সমবেত হয়ে তাদের দাবি পেশ করেন। এসময় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় ,আমাদের এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয় । এ আন্দোলন আমাদের রুটি ও জীবন জীবিকার আন্দোলন, আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চাকরির শেষে সুখে থাকার আন্দোলন । ”