ইবিতে নবীন ছাত্রকে বিবস্ত্র করে র্যাগিং, বহিষ্কার ৩ শিক্ষার্থী
- Update Time : ০৬:৪০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / 68
শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তি প্রদান করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তপক্ষ। এতে তিন শিক্ষার্থীকে এক বছর বহিষ্কার ও দুই জনকে সতর্ক করা হয়েছে। রোববার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১৩ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগর প্রামাণিক ও একই বিভাগের উজ্জ্বল এবং একই বর্ষের শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদ্দাসসির খান কাফি। বহিষ্কৃতরা সবাই বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারন সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। অন্যদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ মাসুম ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিসনো আল আসনাওয়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িত হলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, সাময়িক বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে যে দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে তারা ভবিষ্যতে পুনরায় এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে মর্মে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর র্যাগিং, নগ্ন করে রড দিয়ে মারধর, পর্নোগ্রাফি দেখাতে বাধ্য করা ও টেবিলের ওপর কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখা হয়। ওইদিন লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নম্বর কক্ষ) রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এরপর র্যাগিংয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুই কমিটি কয়েক দফায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেয়। এতে বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে মুদাচ্ছির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে মোহাম্মদ উজ্জলের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে উভয় কমিটি। এছাড়া বাকিদের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় তাদেরকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়।