ঢাবিতে ২ শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি, ১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

  • Update Time : ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / 87

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে (ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগেরও সত্যতা মিলেছে।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এটিকে যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। সেলকে আগামী ২ মাসের মধ্যে ফলাফল দিতে বলা হয়েছে। যৌন নিপীড়ন সেলের কার্যক্রম চলাকালীন অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সকল প্রকার অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিন্ডিকেট সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও ছিলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।

সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের মতো অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত , অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করাকালীন সময়ে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। পরে এ অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে ঢাবি সিন্ডিকেট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে ২ শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি, ১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

Update Time : ১১:০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে (ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। একইসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগেরও সত্যতা মিলেছে।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এটিকে যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। সেলকে আগামী ২ মাসের মধ্যে ফলাফল দিতে বলা হয়েছে। যৌন নিপীড়ন সেলের কার্যক্রম চলাকালীন অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সকল প্রকার অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিন্ডিকেট সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও ছিলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।

সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের মতো অধ্যাপক ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত , অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করাকালীন সময়ে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। পরে এ অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে ঢাবি সিন্ডিকেট।