বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ খুলতে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি
- Update Time : ০২:৫০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
- / 55
কুবি সংবাদদাতা:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হল সমূহ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। সেই সঙ্গে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে শিক্ষকদের উপর হামলায় অংশ নেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করে সুষ্ঠু বিচার, সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের (ছাত্রলীগের সাবেক নেতা) সনদ বাতিল ও হামলায় অংশ নেওয়া বর্তমান শিক্ষার্থীদের (ছাত্রলীগের নেতা) বহিষ্কারও দাবি করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানা যায়, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল সিন্ডিকেটের ৯৩তম জরুরি সভায় ১ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও উপাচার্য সিন্ডিকেটের সভায় হলে অস্ত্র ও অর্থের চালান হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ করে দেন। কোনো ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ছাড়া এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে শিক্ষক সমিতি। সেই সাথে,
শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে হামলাকারী, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার জেলখাটা দাগি আসামি ও সন্ত্রাসীদের হল ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে শিক্ষক সমিতি আশঙ্কা করছে।
এছাড়াও, সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অন্যায় ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে মনে করে শিক্ষক সমিতি।
তাছাড়া, উপাচার্যের এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও লালন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি সংকটে ফেলার একটি নীলনকশা বলে মনে করে সমিতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, উনি (উপাচার্য) আসলে সমাধান চান না। উনি বলেছেন উনি আমাদের সাথে দাবিদাওয়া নিয়ে বসতে চেয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারী উনার সাথে দেখা করতে গেলে কর্মচারী ও অছাত্র কতৃক শিক্ষকদের উপর হামলা হয়। কিন্তু তিনি তার বিচার করেন নি। এছাড়াও শিক্ষকদের যে সকল দাবি ছিলো তা সমাধানেও তিনি দীর্ঘসূত্রীতা করেছেন। এদিকে ২৮ এপ্রিল উপাচার্য নিজে ও তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য উপাচার্য ড. এএফএম আব্দুল মঈনকে একাদিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায় নি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।