ঢাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
- Update Time : ০৯:০১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
- / 58
জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) এ উপলক্ষে সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ এক মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় ও শিশুপার্ক সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহবাগ মোড় হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’।
এবার শোভাযাত্রায় স্থান পায় পাঁচটি মোটিফ। এগুলো হলো- পাখি, হাতি, ভোঁদর, ফুল হাতে শিশু পুতুল এবং চাকার মধ্যে চোখ নিয়ে ভিন্ন রকম একটি শিল্পকর্ম। একইসঙ্গে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন প্রাণির প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা কেউ কোনো ধরনের মুখোশ পরেননি। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুত করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে কেউ ভুভুজেলা বাজায়নি। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু বাঙালির সম্পদ নয়, এটি বিশ্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
উপাচার্য বলেন, অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমরা আলোর দিশারী। অন্ধকার ভেদ করে সমাজে আলো ছড়াতে এবং সমাজের সব কুপমণ্ডকতা দূর করতে এবার আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’।
অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সবার জীবনে আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, এই উৎসবকে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং মৌলবাদী অপশক্তি অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতিবছরই আমাদের সামনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সাম্য ও সম্প্রীতির বাণী নিয়ে উপস্থিত হয় এবং সব জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করে।