ইবিতে রাজশাহী জেলা ছাত্র কল্যাণের বিদায়-বরণ
- Update Time : ০৮:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
- / 359
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১২ টায় ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবীন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ, বিদায়ীদের সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা ও সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের সনদপত্র দেয়া হয়।
সমিতির সভাপতি রিজওয়ান আল হাসিব তুহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. আশেক রায়হান মাহমুদ।
এছাড়া সমিতির নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সভাপতি রিজওয়ান আল হাসিব (তুহিন), সাধারণ সম্পাদক লিখন মির্জাসহ আরও অনেকে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আশেক রায়হান বলেন, বর্তমানে রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সক্রিয় সংগঠন। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে তারা তাদের সক্রিয়তা প্রকাশ করেছেন। এরজন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই সভাপতি তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক লিখনকে। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সংগঠনটির নতুন একটি মাত্রা যোগ হচ্ছে। আমার দেখা এ যাবতকালের অন্যতম সফল কমিটি হচ্ছে বর্তমান কমিটি। আমি এই সংগঠনটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
সভাপতি রিজওয়ান আল হাসিব বলেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি সবসময়ই রাজশাহী জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সার্বিক প্রয়োজনে পাশে থেকেছে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব ও সামাজিক কার্যক্রমের সাথেও রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি শুরু থেকেই সম্পৃক্ত। আজকের এই নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি এবং ভবিষ্যতেও রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে স্বমহিমায় এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
সাধারণ সম্পাদক লিখন মির্জা বলেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিকে নতুন একটি মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করছি আমরা। ইতিমধ্যে আমরা বেশকিছু সামাজিক কর্মসূচি সফলভাবে করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ক্যাম্পাস পরিচ্ছনতা ক্যাম্পেইন, রাজশাহী আন্ত: বিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়া, ইয়াতিমখানায় খাদ্য বিতরণ সহ বিভিন্ন মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করে ক্যাম্পাসের অন্যতম সক্রিয় সংগঠন হিসেবে বর্তমানে আমরা পরিচিত। আগামীতে আমাদের আরো পরিকল্পনা রয়েছে, সকলের সহযোগীতা কামনা করি।
অনুষ্ঠানে আলফি, শাফি, গালিব, ওয়ালী, রাফি, গোলাম রাব্বানী, নাইম, আল-আমিন, নাহিদসহ সংগঠনের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।