যবিপ্রবির ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ অবৈধ: আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত
- Update Time : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
- / 196
মোস্তফা গালিব(যবিপ্রবি প্রতিনিধি):
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত নয় জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল ও অবৈধ বলে সত্যতা পেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলতি আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৮২তম সভায় এ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। এরপর রিজেন্ট বোর্ড প্রতিবেদনসমূহ গ্রহণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত করে। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে সভায় অংশ নেন। রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী ছয় জন কর্মকর্তা হলেন- সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়), টেকনিক্যাল অফিসার মো. হেলালুল ইসলাম (স্নাতক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়), টেকিনিক্যাল অফিসার মো. জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)। রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী তিন জন কর্মচারী হলেন- মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)। রিজেন্ট বোর্ড একামেডিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার বিন রসুলকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদানের অনুমোদন দেয়। তিনি যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. অছিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহ, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।