নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজীপুরে আসন্ন বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. রকিব সরকার।

আগামী ২ নভেম্বর বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাসন থানা আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। সম্মেলনের বাকি অল্পকিছু সময়। ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা চালাচ্ছে জোরেশোরে প্রচারণা।

জানা যায়, মো. রকিব সরকার ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্যপদের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য থেকে সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

নেতা-কর্মীরা জানান, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতা হিসেবে সুপরিচিত রয়েছে রকিব সরকারের। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পরিবারের ওপর একাধিকবার হামলা ও মামলা হয়েছে। কঠিন সময়েও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক ভাবধারার আদর্শের মানুষ হিসেবে অটুট তিনি। জেল-জুলুমকে নিত্যসঙ্গী করে রাজপথে নিজেকে সোচ্চার রেখেছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন, বিশ্বাসী, পরিক্ষিত, নিবেদিত ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে তার। এই নেতাকে বাসন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিলে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রকিব সরকার বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে রয়েছেন। তারা চাচ্ছেন আমাকে যেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাঁয়িত্ব দেওয়া হয়। আমাকে বাসন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই তৃণমূলের দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দলকে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী করবো। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে অগ্রভাগে থেকেছি এবং আগামীতেও থাকবো। এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবো দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে।

তাই আগামী ২ নভেম্বর বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ক্লিন ইমেজের এই নেতাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।