কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস পালিত
- Update Time : ১১:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
- / 184
কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত আর্ট এন্ড হেরিটেজ সোসাইটি’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর অক্টোবরের তৃতীয় শনিবার বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস পালন করা হয়। শনিবার বন্ধ থাকায় ১৬ অক্টোবর (রবিবার) কেক কেটে এই দিবস উদযাপন করা হয়।
এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ” প্রত্নতত্ত্বের মাধ্যমে আপনার শিকড় খুঁজে নিন”।
দিবস পালন বিষয়ে, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, বিশ্ববাসী তথা সর্বস্তরের জনগনকে প্রত্নতত্ত্ব ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানান দিতে প্রতি বছর অক্টোবরের তৃতীয় শনিবার পালিত হয় আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া এবং সমাজে প্রত্নতত্ত্বের অবদান সম্পর্কে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে অবগত করা। প্রতি অক্টোবরে আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থাগুলি সকল শ্রেণির মানুষের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক নানা অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম আয়োজন করে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রদর্শনী, স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পরিদর্শন ইত্যাদি। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে আজ রবিবার (শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায়) কেক কাটা ও অন্যান্য কার্যাদীর মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে প্রত্নতত্ত্ব খুব পরিচিত না, তবে আশার দিক হচ্ছে বর্তমানে মিডিয়া এই বিষয়কে খুব ভালো ভাবে মানুষকে জানাতে চেষ্টা করছে।এই দিবসের মূল বিষয় হচ্ছে শেকড়ের অনুসন্ধান করা। বর্তমানে বাংলাদেশেও প্রত্নতত্ত্বের বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্বের মাধ্যমেই মানুষ ইতিহাস জানতে পারছে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রমাণ করার পর তা নিয়ে ইতিহাস লেখা হচ্ছে।
আর্ট এন্ড হেরিটেজ সোসাইটির ভিপি মেহেদী হাসান মুরাদ বলেন, আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রত্নতত্ত্ব চর্চার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এতে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে। এখনো অনেক মানুষ প্রত্নতত্ত্বের বিষয়ে জানে না। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের আয়োজনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনের সুযোগ রাখবো।