হলের খাবারে মাছি, নেই কোন তদারকি
- Update Time : ০৫:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
- / 312
জাককানইবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা ছাত্র হলের খাবারের মান নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। হলের ডাইনিংয়ে ভাতের প্লেটে পাওয়া যাচ্ছে মশা মাছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। খাবারের দামের তুলনায় খাবারের মান খুবই নিম্ন। খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও এ নিয়ে তেমন কোনো সারা পাওয়া যায় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের।
অগ্নিবীণা হলের হল প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহার নামে রয়েছে ক্যাম্পাসে না থাকার অভিযোগ। অধিকাংশ সময় তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না।
যদিও হল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়ার সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো যে তাকে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে। তবে বাস্তবে এমন চিত্র দেখা যায় না। তিনি ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থা করেন না। অধিকাংশ সময়ই ময়মনসিংহ শহরে অবস্থান করেন।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখা যায় হল প্রভোস্টের অফিস কক্ষ তালা মারা এবং ফোনে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।
খাবারের মান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম আজিজ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ “টিএসসি” তে পোষ্ট করে বলেন,
“অগ্নিবীণা হলের খাবারের অবস্থা”
গতকাল রাত ১০.২০ নাগাদ আমি ছাত্র হলের ডাইনিংয়ে খেতে যায় ওখানে আমি পাঙ্গাস মাছ নিই।অর্ধেক খাওয়ার পর আমার তরকারির মধ্যে আমি মাছি লক্ষ্য করি।তারপর আমি ওদের বলার পর তারা আমাকে বলে যে এতোগুলা খাবার কখন কোথায় থেকে এসে মাছি পড়ে আমরা কিভাবে বলব? এর থেকে আপনি এটা ফেলে দিয়ে আর এক প্লেট ভাত নিয়ে খান।আমি বললাম আপনার ভাত আপনি খান। তারপর ওয়াসরুমে গিয়ে বমি করে আমি রুমে চলে আসি।
আমরা হলে যারা হলে খাই তাদেরকে কি মানুষ মনে হয় না আপনাদের? খাবারের মধ্যে নিয়ত নানারকম জিনিস পাওয়া যায়, তরকারির মধ্যে মাছি, পোকা, পোকা বেগুন ঐরকমই তরকারির মধ্যে দেই আবার পোকা সিম ঐরকমই তরকারি মধ্যে দেই এগুলো কি মানুষের জন্য রান্না করেন না অন্য কোন প্রাণীর জন্য? এসব খাবার আর কতদিন আমাদের খাওয়াবেন?? খাবারের মান সুনিশ্চিত করবেন কবে?”
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো : তাসমিম আহমেদ বলেন, “খাবারের অবস্থা প্রচন্ড বাজে। একদিন আমাকে পচা ডাল খাইয়েছে এবং মাঝে মধ্যে শাক সবজির মধ্যে নোংরা আবর্জনা ও আসে। খাবারের মান না থাকার কারণে আমি নিজেই পুষ্টিহীনতায় ভুগছি। রান্নাঘর নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে এবং অস্বাস্থ্যকর থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন থাকবে যে খাবারের মান ভালো রেখে এবং দাম কমিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন”।