বান্দরবানের দূর্গম স্থলপথ ইয়াবা আনার নতুন রাস্তা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৩৭ Time View

বিপ্লব দাশ,বান্দরবান:

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বান্দরবানসহ সাতটি রুটে ইয়াবাসহ মাদক ঢুকছে

ইয়াবা আনার রুট কৌশলগত কারণে বারবার পরিবর্তন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। নৌপথের পরিবর্তে এখন স্থলপথে ইয়াবা আনা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার নতুন রুট হিসাবে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি সহ মায়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলো বেছে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে এ পথে আনা ইয়াবা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বান্দরবান রুটসহ সাতটি রুটে ইয়াবাসহ অন্যসব মাদক দেশে প্রবেশ করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে দেশে ইয়াবা আসত। রুটটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করায় তা পরিবর্তন করে মাদক ব্যবসায়ীরা নৌপথ বেছে নেয়। নৌপথে সরাসরি ইয়াবা আনা হতো। এ রুটে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা বাড়ালেএবার স্থলপথ হিসাবে বান্দরবানের দুর্গম এলাকাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রুটে ইয়াবার বড় বড় চালান আনা হচ্ছে। পুরোনো রুট গুলো দিয়ে ইয়াবা আনা একেবারে বন্ধ হয়নি।

উল্লেখ্য, বান্দরবানের নতুন রুটে আনা ইয়াবার একটি বড় চালান গত শুক্রবার র‌্যাব-৭-এর একটি দল জব্দ করেছে। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪ লাখ ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম থানার সদর ইউনিয়নের উত্তর পালং পাড়ার একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো উত্তর পালংপাড়ার কবির আহমদের ছেলে মো. মনির এবং একই এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

এদিকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ইয়াবার বড় চালান উদ্ধারের পর বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টনক নড়েছে। এ রুট দিয়ে কীভাবে ইয়াবা আনা হচ্ছে এবং জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বান্দরবানের দূর্গম স্থলপথ ইয়াবা আনার নতুন রাস্তা!

Update Time : ১১:০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

বিপ্লব দাশ,বান্দরবান:

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বান্দরবানসহ সাতটি রুটে ইয়াবাসহ মাদক ঢুকছে

ইয়াবা আনার রুট কৌশলগত কারণে বারবার পরিবর্তন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। নৌপথের পরিবর্তে এখন স্থলপথে ইয়াবা আনা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার নতুন রুট হিসাবে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি সহ মায়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলো বেছে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে এ পথে আনা ইয়াবা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বান্দরবান রুটসহ সাতটি রুটে ইয়াবাসহ অন্যসব মাদক দেশে প্রবেশ করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে দেশে ইয়াবা আসত। রুটটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়াকড়ি আরোপ করায় তা পরিবর্তন করে মাদক ব্যবসায়ীরা নৌপথ বেছে নেয়। নৌপথে সরাসরি ইয়াবা আনা হতো। এ রুটে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা বাড়ালেএবার স্থলপথ হিসাবে বান্দরবানের দুর্গম এলাকাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রুটে ইয়াবার বড় বড় চালান আনা হচ্ছে। পুরোনো রুট গুলো দিয়ে ইয়াবা আনা একেবারে বন্ধ হয়নি।

উল্লেখ্য, বান্দরবানের নতুন রুটে আনা ইয়াবার একটি বড় চালান গত শুক্রবার র‌্যাব-৭-এর একটি দল জব্দ করেছে। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪ লাখ ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম থানার সদর ইউনিয়নের উত্তর পালং পাড়ার একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো উত্তর পালংপাড়ার কবির আহমদের ছেলে মো. মনির এবং একই এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

এদিকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ইয়াবার বড় চালান উদ্ধারের পর বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টনক নড়েছে। এ রুট দিয়ে কীভাবে ইয়াবা আনা হচ্ছে এবং জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।