অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত জি কে শামীমের জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ Time View

অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমকে জামিন দিয়ে আদেশ দেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।

১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করেন।

যেটি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম ।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

গত বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকী সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

রায়ে আদালত তার জব্দকৃত সমস্ত

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত জি কে শামীমের জামিন বহাল

Update Time : ০১:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমকে জামিন দিয়ে আদেশ দেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।

১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করেন।

যেটি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম ।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

গত বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকী সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

রায়ে আদালত তার জব্দকৃত সমস্ত