আফগানিস্তানকে হারিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান

  • Update Time : ১০:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 137

স্পোর্টস ডেস্ক

২০০৫ সালে আইসিসির র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দল মাত্র একবার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানে উঠতে পেরেছিল তবে সেটিও মাত্র দুই দিনের জন্য। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলে আবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠে আসার সুযোগটা ছিল বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের সামনে। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে পথটা তৈরি করেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয়ভাবে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে জিতিয়ে দিয়ে নাসিম শাহ কাজটি আরো সহজ করে দেন। আর এবার ৫৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠে এলো বাবর আজমের দল।

শনিবার (২৬ আগস্ট) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে দলীয় ৫২ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফখর জামান (২৭) ও ইমাম-উল-হক (১৩) উইকেট হারায় তারা।

তবে তৃতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন বাবর। বিদায়ের আগে ৮৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করেন এই ব্যাটার।

বাবরের বিদায়ের পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেন। এরপর শেষ দিকে আগা সালমানের ৩১ বলে অপরাজিত ৩৮ ও মোহাম্মদ নওয়াজের ২৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে তারা।

বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হয়ে গুলবাদিন নাইব ও ফরিদ আহমেদ দুটি করে উইকেট পান। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন ফজল হক ফারুকি, মুজিব-উর-রহমান ও রশিদ খান।

জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপে দলীয় ১০০ রানের রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় পড়ে যায় আফগানরা।

তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানকে ভড়কে দেন শহিদুল্লাহ কামাল ও মুজিব-উর-রহমান। তারা দুজনে মিলে ৪২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। যার মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটার মুজিব। তবে শাদাব খানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কামাল। বিদায়ের আগে ৩৭ রান করেন তিনি।

এরপর চলে শুধুই মুজিবের ঝড়। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তবে ফিফটির পর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে হিট আউট হয়ে বিদায় নেন এই ব্যাটার। বিদায়ের আগে ৩৭ বলে সমান ৫টি করে চার-ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি।

এরপর ফরিদ আহমেদকে বোল্ড করে কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফলে ৪৮.৪ ওভারে ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানরা।

বোলিংয়ে একাই ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। শাহিন, ফাহিম ও নওয়াজ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পান। এ ছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন আগা সালমান।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সরিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠে আসল ১৯৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামী ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আফগানিস্তানকে হারিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান

Update Time : ১০:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক

২০০৫ সালে আইসিসির র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দল মাত্র একবার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানে উঠতে পেরেছিল তবে সেটিও মাত্র দুই দিনের জন্য। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলে আবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠে আসার সুযোগটা ছিল বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের সামনে। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে পথটা তৈরি করেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয়ভাবে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে জিতিয়ে দিয়ে নাসিম শাহ কাজটি আরো সহজ করে দেন। আর এবার ৫৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠে এলো বাবর আজমের দল।

শনিবার (২৬ আগস্ট) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে দলীয় ৫২ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার ফখর জামান (২৭) ও ইমাম-উল-হক (১৩) উইকেট হারায় তারা।

তবে তৃতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন বাবর। বিদায়ের আগে ৮৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করেন এই ব্যাটার।

বাবরের বিদায়ের পরই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেন। এরপর শেষ দিকে আগা সালমানের ৩১ বলে অপরাজিত ৩৮ ও মোহাম্মদ নওয়াজের ২৫ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে তারা।

বোলিংয়ে আফগানিস্তানের হয়ে গুলবাদিন নাইব ও ফরিদ আহমেদ দুটি করে উইকেট পান। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন ফজল হক ফারুকি, মুজিব-উর-রহমান ও রশিদ খান।

জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপে দলীয় ১০০ রানের রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় পড়ে যায় আফগানরা।

তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানকে ভড়কে দেন শহিদুল্লাহ কামাল ও মুজিব-উর-রহমান। তারা দুজনে মিলে ৪২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। যার মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটার মুজিব। তবে শাদাব খানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কামাল। বিদায়ের আগে ৩৭ রান করেন তিনি।

এরপর চলে শুধুই মুজিবের ঝড়। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। তবে ফিফটির পর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে হিট আউট হয়ে বিদায় নেন এই ব্যাটার। বিদায়ের আগে ৩৭ বলে সমান ৫টি করে চার-ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি।

এরপর ফরিদ আহমেদকে বোল্ড করে কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফলে ৪৮.৪ ওভারে ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানরা।

বোলিংয়ে একাই ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। শাহিন, ফাহিম ও নওয়াজ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পান। এ ছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন আগা সালমান।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সরিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠে আসল ১৯৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামী ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে তারা।