আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

  • Update Time : ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 181

স্পোর্টস ডেস্কঃ

বড় হারের চোখ রাঙানি এড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত এক গল্প লিখলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ব্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে বাংলাদেশ। ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

মাত্র ৪৬ রানে ৬টি উইকেটের পতন হলেও মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়েছে টাইগাররা। তারা দুইজন মিলে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।

মেহেদি হাসান মিরাজ ১২০ বল খেলে ৮১ রান করেন। অন্যদিকে আফিফ হোসেন ১১৫ বল খেলে ৯৩ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুইজনেরই যা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ম্যাচটিতে মাত্র অষ্টম ওভারে ৫ম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। দলীয় স্কোর ২৮ রানে বিদায় নেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব ১৫ বলে ১০ রান করতে সক্ষম হন।

এরপর ৪৬ রানের সময় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। ওই সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন। তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হেরেই যাবে টাইগাররা। কিন্তু তখনই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।

এর আগে দুই ওপেনারের পর ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি পেসার ফারুকির মিডল স্টাম্পে পড়ে প্রায় সোজা যাওয়া বলের লাইনে যেতে পারেননি মুশফিক। আরেকটু বেশি সুইং আশা করা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ হওয়ার পর নেন রিভিউ। কাজ হয়নি, রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লাগতো অফ-মিডল স্টাম্পে।

অভিষেকে কঠিন সময়ে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইয়াসির আলি চৌধুরী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে তিনি ফারুকির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে। ছোট রানা তাড়ায় শুরুতেই বাংলাদেশের ইনিংস যেন ধ্বংসস্তুপ।

তিন বলের ব্যবধানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুটি সফল রিভিউ নিয়ে তৃতীয় ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিল আফগানিস্তান। লিটন দাস ক্যাচ আউট হওয়ার পর এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২১৫ (গুরবাজ ৭, ইব্রাহিম ১৯, রহমত ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবউল্লাহ , নবি ১৭, রশিদ ০, মুজিব ০, ইয়ামিন ৫, ফারুকি ০*; মোস্তাফিজ ৯.১-০-৩৫-৩, তাসকিন ১০-০-৫৫-২, সাকিব ৯-১-৫০-২, শরিফুল ১০-১-৩৮-২, মিরাজ ১০-৩-২৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)

বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২১৯/৬ (তামিম ৮, লিটন ১, সাকিব ১০, মুশফিকুর ৩, ইয়াসির আলি ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ৯৩, মিরাজ ৮১; ফজলহক ফারুকি ১০-১-৫৪-৪, মুজিব উর রহমান ১০-০-৩২-১, রশিদ খান ১০-১-৩-১)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

Update Time : ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

বড় হারের চোখ রাঙানি এড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত এক গল্প লিখলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ব্যাটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের দল।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে বাংলাদেশ। ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

মাত্র ৪৬ রানে ৬টি উইকেটের পতন হলেও মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়েছে টাইগাররা। তারা দুইজন মিলে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।

মেহেদি হাসান মিরাজ ১২০ বল খেলে ৮১ রান করেন। অন্যদিকে আফিফ হোসেন ১১৫ বল খেলে ৯৩ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দুইজনেরই যা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ম্যাচটিতে মাত্র অষ্টম ওভারে ৫ম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। দলীয় স্কোর ২৮ রানে বিদায় নেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব ১৫ বলে ১০ রান করতে সক্ষম হন।

এরপর ৪৬ রানের সময় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। ওই সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন। তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হেরেই যাবে টাইগাররা। কিন্তু তখনই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।

এর আগে দুই ওপেনারের পর ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি পেসার ফারুকির মিডল স্টাম্পে পড়ে প্রায় সোজা যাওয়া বলের লাইনে যেতে পারেননি মুশফিক। আরেকটু বেশি সুইং আশা করা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ হওয়ার পর নেন রিভিউ। কাজ হয়নি, রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লাগতো অফ-মিডল স্টাম্পে।

অভিষেকে কঠিন সময়ে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইয়াসির আলি চৌধুরী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে তিনি ফারুকির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে। ছোট রানা তাড়ায় শুরুতেই বাংলাদেশের ইনিংস যেন ধ্বংসস্তুপ।

তিন বলের ব্যবধানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুটি সফল রিভিউ নিয়ে তৃতীয় ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিল আফগানিস্তান। লিটন দাস ক্যাচ আউট হওয়ার পর এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২১৫ (গুরবাজ ৭, ইব্রাহিম ১৯, রহমত ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবউল্লাহ , নবি ১৭, রশিদ ০, মুজিব ০, ইয়ামিন ৫, ফারুকি ০*; মোস্তাফিজ ৯.১-০-৩৫-৩, তাসকিন ১০-০-৫৫-২, সাকিব ৯-১-৫০-২, শরিফুল ১০-১-৩৮-২, মিরাজ ১০-৩-২৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)

বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২১৯/৬ (তামিম ৮, লিটন ১, সাকিব ১০, মুশফিকুর ৩, ইয়াসির আলি ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ৯৩, মিরাজ ৮১; ফজলহক ফারুকি ১০-১-৫৪-৪, মুজিব উর রহমান ১০-০-৩২-১, রশিদ খান ১০-১-৩-১)