মিরাজ কারিশমাতেই কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

  • Update Time : ০৪:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 172

স্পোর্টস ডেস্কঃ

চলমান বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ক্যারিবীয় এই উইকেটকীপার ব্যাটারের তাণ্ডবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে রানের পাহাড় দাঁড় করায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে মিরাজের অসাধারণ বোলিং দক্ষতায় মুশফিকদের কাঁদিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল বন্দর নগরীর দলটি।

উত্তেজনাময় এই ম্যাচে মূলত শেষ ওভারের নাটকে জয় পায় চট্টগ্রাম। যে ওভারে কাঙ্ক্ষিত জয়ের জন্য ১৬টি রান প্রয়োজন ছিল খুলনার। কিন্তু সেই রানই নিতে ব্যর্থ হন ফিফটি করে ক্রিজে থাকা ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরা।

এই দুই মারকুটে ব্যাটারকে চ্যালেঞ্জ জানানো মেহেদী মিরাজ তাঁর ওই নাটকীয় ওভারে দেন মাত্র ৮টি রান। একটি চার দিলেও শেষ বলে আউট করেন পেরেরাকে। যার ফলে ৭ রানের উত্তেজনাময় এক শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে মাতে চট্টগ্রাম। যদিও শেষ পর্যন্ত ৪০ রান দেন মিরাজ।

তবে মূলবান দুটি উইকেট তুলে নিয়ে এবং ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৩৬ রান করে বনে যান ম্যাচের মূল নায়ক। যদিও ৪৪ বলে ৮৯ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওয়ালটনই।

মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। তবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম জড়ো করে ১৮৯ রান। জবাবে সমান সংখ্যক উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানেই থামে খুলনা।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো আন্দ্রে ফ্লেচার। তাঁর ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৯ বলে ৪৩ এবং ইয়াসির আলী ২৪ বলে ৪৫ রানের দুটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন।

চট্টগ্রামের পক্ষে মিরাজ ২টি এবং নাসুম, শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয় একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকসের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন কেনার লুইস।

যদিও ব্যর্থ ছিলেন জাকির হাসান (০) ও অধিনায়ক আফিফ হোসাইন ধ্রুব (৩)। তবে চারে নেমে দলের হাল ধরেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ৩২ বলে ৩৯ রান করে লুইস বিদায় নেয়ার পর ক্রিজে আসা শামীম হোসাইনও আউট হন মাত্র ৭ বলে ১০ রান করে।

তবে লড়াই চালিয়ে যান ওয়ালটন। পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গী হন সাবেক অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ওয়ালটন-মিরাজ মিলে গড়েন ১১৫ রানের এক অনবদ্য জুটি। শেষ ওভারে বিদায় নেয়ার আগে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন মিরাজ।

তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত ৪৪ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আসরে নিজের প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ইনিংসে ছিল সাতটি করে চার ও ছক্কার মার। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল।

যাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রান। খুলনার পক্ষে খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট শিকার করেন ৪০ রানের বিনিময়ে। এছাড়া নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া ও মাহেদী হাসান নেন একটি করে উইকেট। তবে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নজর কাড়েন নাবিল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিরাজ কারিশমাতেই কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

Update Time : ০৪:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

স্পোর্টস ডেস্কঃ

চলমান বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ক্যারিবীয় এই উইকেটকীপার ব্যাটারের তাণ্ডবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে রানের পাহাড় দাঁড় করায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে মিরাজের অসাধারণ বোলিং দক্ষতায় মুশফিকদের কাঁদিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল বন্দর নগরীর দলটি।

উত্তেজনাময় এই ম্যাচে মূলত শেষ ওভারের নাটকে জয় পায় চট্টগ্রাম। যে ওভারে কাঙ্ক্ষিত জয়ের জন্য ১৬টি রান প্রয়োজন ছিল খুলনার। কিন্তু সেই রানই নিতে ব্যর্থ হন ফিফটি করে ক্রিজে থাকা ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরা।

এই দুই মারকুটে ব্যাটারকে চ্যালেঞ্জ জানানো মেহেদী মিরাজ তাঁর ওই নাটকীয় ওভারে দেন মাত্র ৮টি রান। একটি চার দিলেও শেষ বলে আউট করেন পেরেরাকে। যার ফলে ৭ রানের উত্তেজনাময় এক শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে মাতে চট্টগ্রাম। যদিও শেষ পর্যন্ত ৪০ রান দেন মিরাজ।

তবে মূলবান দুটি উইকেট তুলে নিয়ে এবং ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৩৬ রান করে বনে যান ম্যাচের মূল নায়ক। যদিও ৪৪ বলে ৮৯ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওয়ালটনই।

মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। তবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম জড়ো করে ১৮৯ রান। জবাবে সমান সংখ্যক উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানেই থামে খুলনা।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো আন্দ্রে ফ্লেচার। তাঁর ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৯ বলে ৪৩ এবং ইয়াসির আলী ২৪ বলে ৪৫ রানের দুটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন।

চট্টগ্রামের পক্ষে মিরাজ ২টি এবং নাসুম, শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয় একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকসের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন কেনার লুইস।

যদিও ব্যর্থ ছিলেন জাকির হাসান (০) ও অধিনায়ক আফিফ হোসাইন ধ্রুব (৩)। তবে চারে নেমে দলের হাল ধরেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ৩২ বলে ৩৯ রান করে লুইস বিদায় নেয়ার পর ক্রিজে আসা শামীম হোসাইনও আউট হন মাত্র ৭ বলে ১০ রান করে।

তবে লড়াই চালিয়ে যান ওয়ালটন। পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গী হন সাবেক অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ওয়ালটন-মিরাজ মিলে গড়েন ১১৫ রানের এক অনবদ্য জুটি। শেষ ওভারে বিদায় নেয়ার আগে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন মিরাজ।

তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত ৪৪ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আসরে নিজের প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ইনিংসে ছিল সাতটি করে চার ও ছক্কার মার। ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল।

যাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রান। খুলনার পক্ষে খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট শিকার করেন ৪০ রানের বিনিময়ে। এছাড়া নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া ও মাহেদী হাসান নেন একটি করে উইকেট। তবে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নজর কাড়েন নাবিল।