চট্টগ্রামে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কক্সবাজারের এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে লাঞ্ছিত-মারধর
- Update Time : ০৮:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / 47
চট্টগ্রাম ব্যুরো (এরফান হোছাইন):
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রামের চকবাজার সোলতানা (২৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি কিল-ঘুষি মেরে আহত করেছে একই অফিসের আব্বাস (৪০) নামের এক টাউট যুবক।
গত ৫ জানুযারী (রবিবার) সকালে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার অংশে চকবাজার এলাকায় কে গামেন্টস লিমিটেডে এই ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় সোলতানাকে সহপাঠীরা ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করেছে।
আহত সোলতানা উক্ত অফিসে অপারেটর হিসেবে কর্মরত। আর আব্বাস ফিনিশিং ইনচার্জ। আব্বাস বেশ কিছু দিন ধরে সোলতানাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে সোলতানা কঠোর পরিশ্রম করলোও কাজের অবহেলার অভিযোগ এনে ক্ষোভের বশে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি কিল-ঘুষি মেরে আহত করে মুখমন্ডলে রক্তাক্ত জখম করা হয়। বিষয়টি সোলতান প্রাথমিক চিকিৎসার পর কে গামেন্টস লিমিটেডের ম্যানেজার মুজিব স্বত্বাধিকারীরা আফজালকে জানালে তারা মুখে শান্তনার বাণী দিয়ে তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চিকিৎসা খরচ তো দুরের কথা লম্পট ফিনিশিং ইনচার্জ আব্বাসের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি উক্ত গামেন্ট কর্তৃপক্ষ। যার কারনে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে আহত গামেন্টস শ্রমিক সোলতানা।
আহত নারী জানান, কাজে অবহেলা করলে চাকুরীচ্যুত পাশাপাশি বেতন কর্তন করা যায় আমি একজন মহিলা হয়ে পুরুষ শরীর স্পষ্ট করে হাত তুলে কিল-ঘুষি মারবে এটি দেশে কোন আইনে পড়ে। লম্পট আব্বাসের চাকুরিচ্যুত সহ শাস্তির দাবী জানাই
গত মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি আহত গামেন্টস কর্মী পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানকে নির্যাতনের বর্ণনা খুলে বললে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।
আহত সোলতানা কক্সবাজারের মহেশখালীর মেয়ে। তার বাসা বর্তমানে চট্টগ্রাম শহর এলাকায়।
জানাগেছে, ওই গামেন্টসে কোন সুন্দরী মেয়ে পারিবারিক অস্বচ্ছতার কারনে চাকুরি করতে গেলে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যৌন হয়রানিসহ প্রেমের প্রস্তাব দে ফিনিশিং ইনচার্জ আব্বাস তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নির্যাতন করবে না হয় তার প্রস্তাবে রাজি হতে হবে হয় চাকরি ছাড়তে হবে। ও গামেন্টস থেকে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাকুরি ছেড়েছে অনেক মহিলা কর্মী। অতচ বিষয় গুলো নিয়ে অবগত না গামেন্টস কর্তৃপক্ষ। তার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহনকৃত শিক্ষার্থী হানিফ জানান, দেশের গামেন্টস শিল্প সংস্কার জরুরী কারণ এ শিল্পে জড়িত মা বোনদের এক শ্রেণীর মালিক পক্ষ নির্যাতন করে থাকে।
উল্লেখ যে, দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার ৮০% নারীকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২২ সালে সংগঠনটি এই গবেষণা পরিচালনা করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কে গামেন্টস লিমিটেডের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুজিব জানান, আব্বাস ফিনিশিং ইনচার্জ হিসাবে রয়েছেন তিনি মেয়েটিকে মারধর করেছে এটি অপরাধ বলে শিকার করেছেন। তবে অপরাধীকে কোন জরিমানা বা শাস্তি দেওয়া হয়েছে কিনা বললে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।