অগ্নিকাণ্ডে ধান – পাটের গুদাম পুরে ছাঁই, বেঁচে গেলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

  • Update Time : ০৮:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 99

আল-আমিন ভূঁইয়া,মতলব(চাঁদপুর):

মতলব উত্তরে সিপাই কান্দি গ্রামে অবস্থিত বাইশপুর প্লাজার নীচ তলা ভবনে আগুন। ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক, অল্পের জন্য রক্ষা পেলো মাদ্রাসার প্রায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। সরজমিনে জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাই কান্দি গ্রামে বাইশপুর প্লাজা নামে দ্বিতল তলা একটি ভবন রয়েছে। এর নাম মেসার্স প্রধানীয়া টেডার্স। প্রোঃ মোঃ মহসিন ও ইব্রাহীম প্রধান, পিং মনছুর আলী, সাং মতলব পৌর সভার পশ্চিম বাইশপুর গ্রাম। ঐ ভবনের নীচ তলায় তাদের ধান, ভূট্রা , সরিষা ও পাটের গুদাম। দ্বিতীয় তলায় সিপাই কান্দি কাসিমুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা। এটি ভাড়া নিয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম তিনি এ মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। মাদ্রাসায় প্রায় ৩০ জন কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে লেখা পড়া চালিয়ে আসছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে সাতটার সময় দোকান মালিক দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। মাদ্রাসার পাশে রাস্তা দিয়ে এক পথচারী হেটে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে দেখতেপায় নীচ তলায় পাটের গুদামে আগুন দাউ দাউ করে জলছে। তার ডাক চিৎকারে আশে পাশের মানুষ ছুটাছুটি করে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে। এদিকে দ্বিতীয় তলায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিল। আল্লাহর কি মেহের তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকা বাসি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি গ্রস্ত হয় নাই, তবে তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আগুন যখন বাড়তে থাকে তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য সাংবাদিক গোলাম নবী খোকন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত এসে এলাকা বাসির সহযোগিতায় দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ দিকে মতলব উত্তর থানা পুলিশের একটি টীম সরজমিন পরিদর্শন করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী তথা এলাকা বাসির ধারনা বিদ্যুৎতের সর্টসার্কিট এর কারনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে মালিক পক্ষের মোঃ ইব্রাহীম জানান গুদামে ধান, ভূট্রা ও সরিষা ছিল প্রায় সাত শত আশি মন। পাট ছিল প্রায় পাচ থেকে ছয় শত মন। বাজার মূল্য আনুমানিক ২১ লক্ষ টাকা। তবে পাটের ক্ষতিপুরন বেশী হবে বলে জানান তার বড় ভাই মহসিন প্রধান। তবে এলাকা বাসি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তবে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট কাজ করছে। মতলব উত্তর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান বিদ্যুৎতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্র পাত তারা মনে করেন তবে ক্ষতির পরিমাণ পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানাবেন বলে জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অগ্নিকাণ্ডে ধান – পাটের গুদাম পুরে ছাঁই, বেঁচে গেলো মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

Update Time : ০৮:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আল-আমিন ভূঁইয়া,মতলব(চাঁদপুর):

মতলব উত্তরে সিপাই কান্দি গ্রামে অবস্থিত বাইশপুর প্লাজার নীচ তলা ভবনে আগুন। ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক, অল্পের জন্য রক্ষা পেলো মাদ্রাসার প্রায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। সরজমিনে জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাই কান্দি গ্রামে বাইশপুর প্লাজা নামে দ্বিতল তলা একটি ভবন রয়েছে। এর নাম মেসার্স প্রধানীয়া টেডার্স। প্রোঃ মোঃ মহসিন ও ইব্রাহীম প্রধান, পিং মনছুর আলী, সাং মতলব পৌর সভার পশ্চিম বাইশপুর গ্রাম। ঐ ভবনের নীচ তলায় তাদের ধান, ভূট্রা , সরিষা ও পাটের গুদাম। দ্বিতীয় তলায় সিপাই কান্দি কাসিমুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা। এটি ভাড়া নিয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম তিনি এ মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। মাদ্রাসায় প্রায় ৩০ জন কোমল মতি শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে লেখা পড়া চালিয়ে আসছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে সাতটার সময় দোকান মালিক দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। মাদ্রাসার পাশে রাস্তা দিয়ে এক পথচারী হেটে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে দেখতেপায় নীচ তলায় পাটের গুদামে আগুন দাউ দাউ করে জলছে। তার ডাক চিৎকারে আশে পাশের মানুষ ছুটাছুটি করে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে। এদিকে দ্বিতীয় তলায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিল। আল্লাহর কি মেহের তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকা বাসি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি গ্রস্ত হয় নাই, তবে তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আগুন যখন বাড়তে থাকে তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য সাংবাদিক গোলাম নবী খোকন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত এসে এলাকা বাসির সহযোগিতায় দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ দিকে মতলব উত্তর থানা পুলিশের একটি টীম সরজমিন পরিদর্শন করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী তথা এলাকা বাসির ধারনা বিদ্যুৎতের সর্টসার্কিট এর কারনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে মালিক পক্ষের মোঃ ইব্রাহীম জানান গুদামে ধান, ভূট্রা ও সরিষা ছিল প্রায় সাত শত আশি মন। পাট ছিল প্রায় পাচ থেকে ছয় শত মন। বাজার মূল্য আনুমানিক ২১ লক্ষ টাকা। তবে পাটের ক্ষতিপুরন বেশী হবে বলে জানান তার বড় ভাই মহসিন প্রধান। তবে এলাকা বাসি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তবে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট কাজ করছে। মতলব উত্তর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান বিদ্যুৎতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্র পাত তারা মনে করেন তবে ক্ষতির পরিমাণ পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানাবেন বলে জানান।