বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 125

জেলা প্রতিনিধি

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, শ্রমিকদলের সভাপতি ও ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নামীয় ৬৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নাশকতার পরিকল্পনার জন্য বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। নাশকতা, জনমনে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রস্তুতি নেন তারা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোরশেদ আলী ও ইউসুফ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোরশেদ আলী দক্ষিণ দত্তেরচর গ্রামের শাহাজল হক ও ইউসুফ আলী কামালপুর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত নইবুল্ল্যাহ শেখের ছেলে।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল সাফী লিপন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কায়ছার আমিন, সরকারি কে ইউ কলেজের সাবেক ভিপি ও যুবদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবাইদুল ইসলাম শামীম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ রহমত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা হায়দার আলি, মাসুদ মিয়া, লাভলু খন্দকার, ইমরান শরীফ, নুর হোসেন, ইকরামুল ইসলাম মাখন, মনির হোসেন, সম্রাট মিয়া, আল আমিন, নজরুল ইসলাম ফারুক, নুরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া, শেখ ফরিদ, আবদুল মুকিত, উজ্জ্বল মিয়া, আমিনুল ইসলাম, ফরিদ সরকার, মিজানুর রহমান,আবদুল সালাম, মাসুদ রানা,আকতার হোসেন মাস্টার, আবদুল হামিদ, আবু তালেব, মনো মিয়া, ওয়ায়েজ মিয়া, কায়ছার আমিন, আব্দুল্লাহ আল সাফী লিপন, মুরাদ সরকার, সোহেল রানা পলাশ, মুক্তার হোসেন, মনির, শহিদুল্লাহ,রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, শরীফ মিয়া, মালেক মিয়া, আবু রায়হান, রাজীব, আবদুল্লাহ, সুরুজ মিয়া, সাজু মিয়া, মিন্টু মিয়া, বিল্লাল, আবদুল হাকিম, রুবেল, মইন উদ্দিন, খোরশেদ,ভুট্টু মিয়া, মুক্তার আলী, বাদল, ওমর ফারুক, সোনা মিয়া, মহির উদ্দিন, নুর ইসলাম, আক্কাছ আলী, সাদা মিয়া, ছানাউল হক বাবু, বাবুল মিয়া, লেলিন ও মমিন মিয়া।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, শ্রমিকদলের সভাপতি ও ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নামীয় ৬৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নাশকতার পরিকল্পনার জন্য বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। নাশকতা, জনমনে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রস্তুতি নেন তারা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোরশেদ আলী ও ইউসুফ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোরশেদ আলী দক্ষিণ দত্তেরচর গ্রামের শাহাজল হক ও ইউসুফ আলী কামালপুর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত নইবুল্ল্যাহ শেখের ছেলে।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল সাফী লিপন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কায়ছার আমিন, সরকারি কে ইউ কলেজের সাবেক ভিপি ও যুবদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবাইদুল ইসলাম শামীম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ রহমত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা হায়দার আলি, মাসুদ মিয়া, লাভলু খন্দকার, ইমরান শরীফ, নুর হোসেন, ইকরামুল ইসলাম মাখন, মনির হোসেন, সম্রাট মিয়া, আল আমিন, নজরুল ইসলাম ফারুক, নুরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া, শেখ ফরিদ, আবদুল মুকিত, উজ্জ্বল মিয়া, আমিনুল ইসলাম, ফরিদ সরকার, মিজানুর রহমান,আবদুল সালাম, মাসুদ রানা,আকতার হোসেন মাস্টার, আবদুল হামিদ, আবু তালেব, মনো মিয়া, ওয়ায়েজ মিয়া, কায়ছার আমিন, আব্দুল্লাহ আল সাফী লিপন, মুরাদ সরকার, সোহেল রানা পলাশ, মুক্তার হোসেন, মনির, শহিদুল্লাহ,রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, শরীফ মিয়া, মালেক মিয়া, আবু রায়হান, রাজীব, আবদুল্লাহ, সুরুজ মিয়া, সাজু মিয়া, মিন্টু মিয়া, বিল্লাল, আবদুল হাকিম, রুবেল, মইন উদ্দিন, খোরশেদ,ভুট্টু মিয়া, মুক্তার আলী, বাদল, ওমর ফারুক, সোনা মিয়া, মহির উদ্দিন, নুর ইসলাম, আক্কাছ আলী, সাদা মিয়া, ছানাউল হক বাবু, বাবুল মিয়া, লেলিন ও মমিন মিয়া।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।