কুবি ভিসির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে সাংবাদিককে বহিষ্কার, ডুজার উদ্বেগ

  • Update Time : ০৩:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / 137

কুবি প্রতিনিধি :

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বহিষ্কারাদেশ প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) ডুজা সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে, ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগের সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী রুদ্র ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, রুদ্র ইকবাল অভিযোগ করেছেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মনে করে, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ওই নবীন সংবাদকর্মী কোন ভুল করে থাকলে তা প্রতিকারের জন্য যথোপযুক্ত আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা বাঞ্চনীয় ছিলো। সংক্ষুদ্ধ পক্ষ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা না করে ওই সংবাদকর্মীর পেশা জীবনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া তার শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছে, যা কোন বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়।

ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্ট নজীর স্থাপিত হলো, যা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে এমন পন্থা অনুসরণে প্রলুদ্ধ করতে পারে। ফলে সারা দেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চা ব্যাহত হতে পারে। সার্বিকভাবে দেশের সাংবাদিকতা যখন সংকটাপন্ন, তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো।

বিবৃতিতে ওই সংবাদকর্মীর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে সংবাদক্ষেত্রের জন্য প্রচলিত আইন ও রীতি অনুসরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুবি ভিসির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে সাংবাদিককে বহিষ্কার, ডুজার উদ্বেগ

Update Time : ০৩:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি :

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বহিষ্কারাদেশ প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।

বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) ডুজা সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রুবেল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে, ২ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগের সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী রুদ্র ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, রুদ্র ইকবাল অভিযোগ করেছেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মনে করে, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ওই নবীন সংবাদকর্মী কোন ভুল করে থাকলে তা প্রতিকারের জন্য যথোপযুক্ত আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা বাঞ্চনীয় ছিলো। সংক্ষুদ্ধ পক্ষ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা না করে ওই সংবাদকর্মীর পেশা জীবনে সংঘটিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া তার শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছে, যা কোন বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়।

ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক শাস্তির মুখোমুখি করার নিকৃষ্ট নজীর স্থাপিত হলো, যা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনকে এমন পন্থা অনুসরণে প্রলুদ্ধ করতে পারে। ফলে সারা দেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চা ব্যাহত হতে পারে। সার্বিকভাবে দেশের সাংবাদিকতা যখন সংকটাপন্ন, তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো।

বিবৃতিতে ওই সংবাদকর্মীর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে সংবাদক্ষেত্রের জন্য প্রচলিত আইন ও রীতি অনুসরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়।