মিছিলে মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল

  • Update Time : ০২:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • / 114

জেলা প্রতিনিধি

খণ্ড খণ্ড মিছিল আর স্লোগানো মুখরিত রংপুর মহানগরী। নানা রঙের প্লাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে ভোর থেকে রংপুরে জমায়তে হচ্ছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। তাদের উদ্দেশ্য, প্রিয় নেতার ভাষণ শুনবেন।

বুধবার বিকেল ‍তিনটায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে এসে ভাষণ দেবেন।

রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় এই মহাসমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে বইছে উচ্ছ্বাস আর আনন্দের ঢেউ।

সরেজমিন, দীর্ঘ এক যুগ পর বঙ্গবন্ধু কন্যার ভাষণ সরাসরি শুনতে রংপুর নগরীর মেডিক্যাল মোড় থেকে শুরু করে বিভাগেরে প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড় এবং বাস টার্মিনাল থেকে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার সাতমাথার মোড় পর্যন্ত সমাবেশ সফল করার স্লোগান আর খণ্ড মিছিলে।

বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব মানুষ পরবর্তীতে হাঁটা পথে নগরীর ৩-৪ কিলোমিটার জুড়ে মিছিলে মিছিলে ছুটছেন জিলা স্কুল মাঠের দিকে। এতে পুরুষের পাশাপাশির নারীরদেরও উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।

সমাবেশের আয়োজকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি লোক সমাগম হবে।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো নগরী। এছাড়া এক হাজারেরও বেশি সিসিটিভির ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সমাবেশস্থল ও আশপাশ।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, দুপুর দুইটায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে নামবেন।

সেখান থেকে সোয়া দুইটার দিকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেল তিনটায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ স্থলে পৌঁছাবেন। প্রথমে সেখানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সফরে রংপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন সরকারপ্রধান।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, জনসভাকে ঘিরে সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকী পুলিশের পাশাপাশি অস্ত্রসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছে। জনসভাস্থল ছাড়াও থাকছে পথে পথে রুট ডিউটি, থাকবে চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে থাকবে প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিছিলে মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল

Update Time : ০২:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

খণ্ড খণ্ড মিছিল আর স্লোগানো মুখরিত রংপুর মহানগরী। নানা রঙের প্লাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে ভোর থেকে রংপুরে জমায়তে হচ্ছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। তাদের উদ্দেশ্য, প্রিয় নেতার ভাষণ শুনবেন।

বুধবার বিকেল ‍তিনটায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে এসে ভাষণ দেবেন।

রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় এই মহাসমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে বইছে উচ্ছ্বাস আর আনন্দের ঢেউ।

সরেজমিন, দীর্ঘ এক যুগ পর বঙ্গবন্ধু কন্যার ভাষণ সরাসরি শুনতে রংপুর নগরীর মেডিক্যাল মোড় থেকে শুরু করে বিভাগেরে প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড় এবং বাস টার্মিনাল থেকে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের প্রবেশদ্বার সাতমাথার মোড় পর্যন্ত সমাবেশ সফল করার স্লোগান আর খণ্ড মিছিলে।

বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব মানুষ পরবর্তীতে হাঁটা পথে নগরীর ৩-৪ কিলোমিটার জুড়ে মিছিলে মিছিলে ছুটছেন জিলা স্কুল মাঠের দিকে। এতে পুরুষের পাশাপাশির নারীরদেরও উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।

সমাবেশের আয়োজকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি লোক সমাগম হবে।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো নগরী। এছাড়া এক হাজারেরও বেশি সিসিটিভির ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে সমাবেশস্থল ও আশপাশ।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, দুপুর দুইটায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের হেলিপ্যাডে নামবেন।

সেখান থেকে সোয়া দুইটার দিকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেল তিনটায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ স্থলে পৌঁছাবেন। প্রথমে সেখানে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সফরে রংপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন সরকারপ্রধান।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, জনসভাকে ঘিরে সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকী পুলিশের পাশাপাশি অস্ত্রসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছে। জনসভাস্থল ছাড়াও থাকছে পথে পথে রুট ডিউটি, থাকবে চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সদস্যরা। উঁচু ভবনের ছাদে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর প্রতি ফ্লোরে ফ্লোরে থাকবে প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।