চৌহালী উপজেলার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল’র অপকর্মের আমলনামা, পর্ব-১

  • Update Time : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • / 1133

মোঃ ইমরুল হাসান-চৌহালী প্রতিনিধি:

চৌহালী এলজিইডি অফিসের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল এর বিরুদ্ধে R,E,R,M,P-3 প্রকল্পের চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে অসহায় মহিলাদের কাছ থেকে লাখ, লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, R,E,R,M,P-3 প্রকল্পের ফারজানা নামের এক মহিলাকে চাকুরী দিয়ে করেন শারীরিক সম্পর্ক। ফারজানার স্বামী রুবেল এই বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী এলজিইডি বরাবর শহিদুল এর অপকর্মের বিরুদ্ধে ২৪/৮/২০২০ সালে অভিযোগ দাখিল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ নিয়োগ প্রদানের সময় তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় শহিদুলের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় একাধিক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ দেওয়ার কথা বলে লক্ষ, লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেন ও বিভিন্ন ঠিকাদার এর সাথে সিয়ারে কাজ করেন।
এগুলো দেখার কেউ ছিলো না। উপজেলা এলজিইডি অফিস ছিলো তার নিয়ন্ত্রণে।
পরে ফারজানার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্নীতিবাজ উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলায় বদলী করেন।
কিন্ত শহিদুল ইসলাম এক মাসের মধ্যে চৌহালী উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাগরপুর, টাংগাইলে বদলী হয়ে আসেন।
R,E,R,M,P -3 একাধিক পরিছন্ন কর্মীরা জানান, শহিদুল স্যার নাগরপুর, টাংগাইলে বদলী হয়ে আসার পরপরই, আমাদের কাছ থেকে ১৫হাজার করে টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে আমি সকলের চাকুরী খেয়ে ফেলবো। আর যদি কেউ ফারজানা বিরুদ্ধে কথা বলিস সবার বিরুদ্ধে সাংবাদিক দিয়ে নিউজ করাবো, এমন হুমকি দেন শহিদুল স্যার।
ফারজানা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, R,E,R,M,P – 3 কর্মীরা বলেন, ফারজানাকে শহিদুল স্যার বউয়ের মতো আলাদা বাসায় রাখেন। এই জন্য শহিদুল স্যার ফারজানার স্বামীকে ও এলাকা ছাড়া করেছে।

জানা যায় শহিদুলের বউ, মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন, ঢাকার সাভারে।
চৌহালী থেকে নাগরপুর উপজেলার দূরত্ব ১৮কিঃমি, কিন্ত সে ভাড়া থাকেন চৌহালী উপজেলায়। এর কারণ এলাকাবাসী জানান, শুধু ফারজানার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতেই তিনি চৌহালীতে থাকেন।
ইতিমধ্যেই এলাকাবাসী পক্ষ থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশির উদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবর শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের তথ্যর ভিত্তিতে জানা যায়, ফারজানা আবার তার স্বামীর কাছে পূণরায় সংসার করার প্রত্যায় ব্যক্ত করলে, উপসহকারী শহিদুল ফারজানা সংসার ভেঙে দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে চাচ্ছে এবং প্রতিদিন তার বাসায় ডেকে নিয়ে অবৈধভাবে ফারজানা এর সাথে মিলামিশা করছে।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশির উদ্দিন কে একাধিকবার সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান, অভিযোগ প্রত্যাহার করতে।
সন্ত্রাসী দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে মুচেলেকা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।

জানা যায়, চৌহালী উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর কর্মরত ছিলেন। ৪/৮/২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে তাড়াশে বদলি করা হয়। এক মাসেই তদবির করে চৌহালীর পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলায় ফিরে আসেন এবং আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

অভিযুক্ত চৌহালী উপজেলার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশল শহিদুল বলেন, দীর্ঘদিন চৌহালীতে ছিলাম, এটা ঠিক, তবে আমি এবিষয়ে আপনাদের সাথে রাতে চৌহালীতে এসে কথা বলবো। আপনারা আপাতত সংবাদ বন্ধ রাখেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, R,E,R,M,P-3 প্রকল্প তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে নিয়োগ বাস্তবায়ন হয়।এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চৌহালী উপজেলার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল’র অপকর্মের আমলনামা, পর্ব-১

Update Time : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

মোঃ ইমরুল হাসান-চৌহালী প্রতিনিধি:

চৌহালী এলজিইডি অফিসের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল এর বিরুদ্ধে R,E,R,M,P-3 প্রকল্পের চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে অসহায় মহিলাদের কাছ থেকে লাখ, লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, R,E,R,M,P-3 প্রকল্পের ফারজানা নামের এক মহিলাকে চাকুরী দিয়ে করেন শারীরিক সম্পর্ক। ফারজানার স্বামী রুবেল এই বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী এলজিইডি বরাবর শহিদুল এর অপকর্মের বিরুদ্ধে ২৪/৮/২০২০ সালে অভিযোগ দাখিল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ নিয়োগ প্রদানের সময় তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় শহিদুলের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় একাধিক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ দেওয়ার কথা বলে লক্ষ, লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেন ও বিভিন্ন ঠিকাদার এর সাথে সিয়ারে কাজ করেন।
এগুলো দেখার কেউ ছিলো না। উপজেলা এলজিইডি অফিস ছিলো তার নিয়ন্ত্রণে।
পরে ফারজানার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী দুর্নীতিবাজ উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলায় বদলী করেন।
কিন্ত শহিদুল ইসলাম এক মাসের মধ্যে চৌহালী উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাগরপুর, টাংগাইলে বদলী হয়ে আসেন।
R,E,R,M,P -3 একাধিক পরিছন্ন কর্মীরা জানান, শহিদুল স্যার নাগরপুর, টাংগাইলে বদলী হয়ে আসার পরপরই, আমাদের কাছ থেকে ১৫হাজার করে টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে আমি সকলের চাকুরী খেয়ে ফেলবো। আর যদি কেউ ফারজানা বিরুদ্ধে কথা বলিস সবার বিরুদ্ধে সাংবাদিক দিয়ে নিউজ করাবো, এমন হুমকি দেন শহিদুল স্যার।
ফারজানা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, R,E,R,M,P – 3 কর্মীরা বলেন, ফারজানাকে শহিদুল স্যার বউয়ের মতো আলাদা বাসায় রাখেন। এই জন্য শহিদুল স্যার ফারজানার স্বামীকে ও এলাকা ছাড়া করেছে।

জানা যায় শহিদুলের বউ, মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন, ঢাকার সাভারে।
চৌহালী থেকে নাগরপুর উপজেলার দূরত্ব ১৮কিঃমি, কিন্ত সে ভাড়া থাকেন চৌহালী উপজেলায়। এর কারণ এলাকাবাসী জানান, শুধু ফারজানার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতেই তিনি চৌহালীতে থাকেন।
ইতিমধ্যেই এলাকাবাসী পক্ষ থেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশির উদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবর শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের তথ্যর ভিত্তিতে জানা যায়, ফারজানা আবার তার স্বামীর কাছে পূণরায় সংসার করার প্রত্যায় ব্যক্ত করলে, উপসহকারী শহিদুল ফারজানা সংসার ভেঙে দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে চাচ্ছে এবং প্রতিদিন তার বাসায় ডেকে নিয়ে অবৈধভাবে ফারজানা এর সাথে মিলামিশা করছে।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশির উদ্দিন কে একাধিকবার সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমণ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান, অভিযোগ প্রত্যাহার করতে।
সন্ত্রাসী দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে মুচেলেকা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে।

জানা যায়, চৌহালী উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর কর্মরত ছিলেন। ৪/৮/২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে তাড়াশে বদলি করা হয়। এক মাসেই তদবির করে চৌহালীর পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলায় ফিরে আসেন এবং আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

অভিযুক্ত চৌহালী উপজেলার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশল শহিদুল বলেন, দীর্ঘদিন চৌহালীতে ছিলাম, এটা ঠিক, তবে আমি এবিষয়ে আপনাদের সাথে রাতে চৌহালীতে এসে কথা বলবো। আপনারা আপাতত সংবাদ বন্ধ রাখেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, R,E,R,M,P-3 প্রকল্প তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে নিয়োগ বাস্তবায়ন হয়।এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।